কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
ময়নাগুড়ি ব্লক সদর থেকে কিছুটা ভিতরে আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত। আমগুড়িতে বড় বাজার আছে। সেই বাজারেই রবিবার রাতে পাঁচটি দোকানে চুরি হয়। এছাড়াও তিনটি দোকানের তালা ভাঙার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারের একটি হোটেল, একটি সেলুন, একটি তামাক ও দু’টি মুদিখানা দোকানে চুরি হয়। চুরির ধরণ দেখে ব্যবসায়ী সমিতির অনুমান, মূলত ক্যাশবাক্স থেকে নগদ টাকা চুরি করাই ছিল দুষ্কতী দলের উদ্দেশ্য।
এক মুদিখানা ব্যবসায়ী উত্তমকুমার ঘোষ বলেন, রবিবার রাত ৯টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাই। এদিন সকালে দোকানে এসে দেখি, তালা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। ক্যাশবাক্সে নগদ প্রায় ১২ হাজার টাকা ছিল। একটাও সেখানে নেই। আর কী কী চুরি হয়েছে তা খতিয়ে দেখছি। বাজারে রাতে পুলিস পাহারা দিক। তাহলে হয়তো চুরি ঠেকানো যাবে। সেলুন মালিক দীপক শীল বলেন, আমার ছোট ব্যবসা। কোনওভাবে দিন চলে। দোকানের ক্যাশবক্সে নগদ ২০০০ টাকার মতো ছিল। এক টাকাও নেই। অন্য ব্যবসায়ীরাও একই কথা জানিয়েছেন।
আমগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক অমল রায় বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা রাতের ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এভাবে একরাতে এতগুলি দোকানে আগে কখনও চুরি হয়নি। দুষ্কৃতীরা মোট আটটি দোকান টার্গেট করেছিল। এরমধ্যে দু’টি মুদিখানা দোকান, দু’টি সেলুন, দু’টি দশকর্মা দোকান, একটি হোটেল ও একটি তামাকের দোকান ছিল। আমরা চাইছি, পুলিস ঘটনার তদন্ত করুক। ময়নাগুড়ি থানার পুলিস জানিয়েছে, ব্যবসায়ী সমিতি অভিযোগ জানিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ময়নাগুড়ি সদরে পরপর কয়েকটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। কিছুদিন আগেই থানা সংলগ্ন এলাকায় একরাতে পাঁচটি দোকানে চুরি হয়। ময়নাগুড়ি সদরের এক মোবাইলের দোকান থেকে লক্ষাধিক টাকার মোবাইল ফোন চুরি হয়েছিল। দিন কয়েক আগে একটি মুদিখানা দোকান থেকে প্রায় ৪৫ হাজার টাকার সামগ্রী চুরি হয়।