কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
এব্যাপারে ইংলিশবাজার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, শহরের বাসিন্দাদের জন্য আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল প্রকল্প অনেকদিন আগেই হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পের কাজও শুরু হয়েছে। কোতোয়ালির কাছে ওই ‘ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু নানা কারণে কাজ গতি হারায়। বিষয়টি এর আগেও আমরা পুরমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। তিনি সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করেন। ফের তাঁর কাছে আমরা আবেদন জানাব। নির্বাচনের আগে যাতে কাজ শেষ করা যায় তার চেষ্টা করা হবে। আমাদের তরফে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখা হবে না।
মালদহ জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার (বাবলা) ও হেমন্ত শর্মা বলেন, ফিরহাদ হাকিম মঙ্গলবার সকালে মালদহে আসবেন। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর তিনি উত্তর দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। সেখানে বিকেলে রায়গঞ্জে তাঁর একটি কর্মিসভা রয়েছে। তা সেরে তিনি ফের সন্ধ্যায় মালদহে পৌঁছবেন। ইংলিশবাজার শহরের একটি সিনেমা হলে কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছে। ওই হলে দুই হাজার মানুষের বসার জায়গা হবে। আমরা জেলার দুই পুর শহর এবং ১৫টি ব্লক এলাকা থেকে বাছাই করা নেতা-কর্মীদের সভায় ডাকছি। উল্লেখ্য, মালদহে তৃণমূলের সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ ব্লক এবং অঞ্চল কমিটি গঠন করতে শাসক দল ব্যর্থ হয়েছে। প্রায় দুই বছর ধরে বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে কমিটি গঠনের কাজ সম্পূর্ণ না করতে পারলে তৃণমূলকে বেগ পেতে হবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। সেক্ষেত্রে দ্রুত এব্যাপারে শাসক দলকে নিজেদের ভিত মজবুত করতে হবে। তারপর ভোটের ময়দানে নামতে হবে।
বাবলাবাবু বলেন, এদিনের কর্মিসভায় মূলত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের নেতৃত্ব স্থানীয়রা সভায় যোগ দেবেন। রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে ময়দানে নামার জন্য পুরমন্ত্রী তাঁদের নির্দেশ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। মালদহে আমাদের দলের সংগঠন অটুট রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় আরও বেশি করে নজর দিতে হবে। আমরা নিজেদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছি। পুরাতন মালদহ সহ একাধিক ব্লক এলাকায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও কর্মসূচিতে আমি উপস্থিত থাকছি। এভাবে আগামী দিনে আরও বেশি সভা, মিছিলের আয়োজন করা হবে। বিধানসভা ভোটকে লক্ষ্য রেখে আমরা জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছি।