কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি ডাঃ অমিত দাঁ বলেন, গত বছর মার্চ মাস নাগাদ আমাদের জেলায় লালারসের নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। এপ্রিলে জেলায় করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। তারপর থেকে প্রতিদিনই করোনা পজিটিভ রোগীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল। বছরের মাঝামাঝি সময়ে মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে করোনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এখনও পর্যন্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মোট ১৫ হাজার ৫০৮টি নমুনার রিপোর্ট করোনা পজিটিভ এসেছে। পাশাপাশি এক লক্ষ ৮৫ হাজার ১৫০ টি নমুনার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। রবিবার মেডিক্যালে ৫৪৭ টি লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু সেগুলির মধ্যে কারও রিপোর্ট পজিটিভ আসেনি।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ২০২০ সালে মালদহে মোট ১০ হাজার ৭৯০ জন করোনায় আক্রান্ত হন। একমসয় দৈনিক সংক্রমণের হার ১০০-১৫০ মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। ওইসময় জেলায় ব্যাপকভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে দুর্গাপুজোর পর থেকে জেলায় করোনা সংক্রমণের হার কমতে থাকে। এবছর এখনও পর্যন্ত জেলায় ৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন বছরে অবশ্য ইংলিশবাজার পুরসভা এলাকার সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই ক’দিনে আক্রান্ত ৭৭ জনের মধ্যে ৪০ জনের বাড়ি শহরেরই বিভিন্ন ওয়ার্ডে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৭ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত জেলায় কোনও করোনা রোগী ছিল না। ওইসময় করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের পুরাতন মালদহের নারায়নপুর এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাস সংলগ্ন ওই বেসরকারি হাসপাতালে রাখা হচ্ছিল। পরবর্তীকালে ওই হাসপাতালকে ‘সারি’ (গুরুতর শ্বাসকষ্ট রয়েছে এমন রোগীদের চিকিৎসা কেন্দ্র) হাসপাতাল স্তরে উন্নীত করা হয়। গত ২৭ এবং ২৮ এপ্রিল পরপর দু’দিন জেলার মানিকচক ও রতুয়া এলাকায় দু’জন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। দু’জনকেই অবশ্য শিলিগুড়ির একটি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার কয়েকঘন্টার মধ্যে মানিকচক ব্লক এলাকায় ফের এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হন। মানিকচকের দ্বিতীয় এবং জেলার তৃতীয় করোনা রোগীকে নারায়ণপুর বাইপাসের ধারে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তৎক্ষণাৎ সেটি ‘সারি’ থেকে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়। সাবেক ‘সারি’ হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। তারপর জেলার কোভিড হাসপাতালে একের পর এক করোনা রোগীকে ভর্তি নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৮০৩০ জন আক্রান্ত হয়েছে। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটেছে। বর্তমানে জেলায় অ্যাকটিভ করোনা রোগী রয়েছেন ১৩ জন। তাঁদের মধ্যে একজন কোভিড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকি ১২ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। বর্তমানে জেলায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা খুবই কমে গিয়েছে। তবে তা বলে এখনই সতর্কতার রাশ মোটেই আলগা করতে চাইছেন না স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা।