বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
তুফানগঞ্জ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রায়ডাক নদীর জল শনিবার গভীর রাতে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশে ঢুকে পড়ে। পুরসভার দক্ষিণপাড়া সহ পার্শ্ববর্তী নাককাটিগাছ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকারও প্রচুর বাড়িতে জল ঢুকে যায়। অনেকেই জলবন্দি হয়ে আছেন। রাতেই চারটি পরিবার তাদের প্রয়োজনীয় মালপত্র নিয়ে বাড়িঘর ছেড়ে ওয়ার্ডের রায়ডাক ভবনে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধবী রবিদাস নামে এক বৃদ্ধা ভবনের সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠতে গিয়ে পড়ে গিয়ে বাঁ পায়ে চোট পান। তাঁর চিকিৎসা চলছে।
বিদায়ী পুর বোর্ডের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তৃণমূল কংগ্রেসের অম্লান বর্মা বলেন, প্লাবিত ওই চারটি পরিবার রাতেই তাঁদের বাড়িঘর ছেড়ে রায়ডাক ভবনে আশ্রয় নেওয়ার জন্য আসে। আমরা ভবনের দরজা খুলে দিয়ে পরিবারগুলিকে থাকার ব্যবস্থা করি। ওঁদের খাবার ব্যবস্থাও আমরা করে দিয়েছি। জখম বৃদ্ধার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে শিশু সহ আশ্রয় নেওয়া প্রত্যেকের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। নদীতে জল আরও বাড়লে এবং কেউ আর্জি জানালে তাঁকেও আমরা রায়ডাক ভবনে নিয়ে আসব।
তুফানগঞ্জ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অনন্তকুমার বর্মা বলেন, রায়ডাক নদীর জল গ্রামে ঢুকলে সাধারণত পার্শ্ববর্তী নাককাটিগাছের বাসিন্দারাও আশ্রয় নেওয়ার জন্য আমাদের এখানে চলে আসেন। আমরা তাঁদেরও আশ্রয় দিই। শনিবার রায়ডাক ভবনে আশ্রয় নেওয়া শহরের পরিবারগুলিকে পুরসভার তরফে দেখভাল করা হচ্ছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। দক্ষিণপাড়া এবং রায়ডাক নদীর মাঝখানে বাঁধ নেই। তাই ফি বছর বর্ষার মরশুমে নদীর জল ঢুকে যায়। সমস্যার বিষয়টি আমরা উপর মহলে জানিয়েছি।
সেচ দপ্তরের তুফানগঞ্জ মহকুমা আধিকারিক বিশ্বজিৎ দেব বলেন, শুধুমাত্র রায়ডাক-১ নদীতে হলুদ সঙ্কেত রয়েছে। তাছাড়া সবকটি নদীতেই কখনও জল বাড়ছে আবার কমছে। আমরা নদীগুলির জল স্তরের উপর নজর রাখছি।
রায়ডাক ভবনে আশ্রয় নেওয়া ওই পরিবারগুলির সদস্যরা বলেন, রাতে আমাদের ঘরের ভেতরে হু হু করে জল ঢুকতে থাকে। নিজেদের অসহায় বোধ করায় এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছি। আমাদের পাড়ার রায়ডাক নদীতে বাঁধ তৈরি করা দরকার।
পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তৃণমূলের ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, শনিবার দিনভর বৃষ্টির পর রাতে আমার ওয়ার্ডের নিবেদিতা রোড ও নেতাজি রোডেও জল উঠে গিয়েছিল। বেশকিছু বাড়ির উঠানেও হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। যদিও ভোরের মধ্যে তা নেমে যায়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহাশ্মশান রোড, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বীণাপানি রোড সংলগ্ন কিছু বাড়িতে জল ঢুকেছিল।