সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
এদিকে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী বিপ্লব বসাক সোমবার আলিপুরদুয়ার এসিজেএম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এদিনই তাঁকে পুলিস আলিপুরদুয়ার আদালতে তুলে। আদালত ধৃতকে ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতে পাঠিয়েছে।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে জেলার পুলিস সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, শহরের উত্তর অরবিন্দনগরে বাপি পণ্ডিতকে পিস্তল দিয়ে গুলি করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বিপ্লব বসাক সোমবার আলিপুরদুয়ার এসিজেএম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। আদালত ধৃতকে ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতে পাঠিয়েছে। পুলিস সুপার বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জেলায় নতুন করে আর কাউকে ব্যক্তিগত বন্দুকের লাইসেন্সের জন্য সুপারিশ আমরা করব না। এনিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত জেলায় যতগুলি ব্যক্তিগত বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে সেই লাইসেন্সগুলির বর্তমান চরিত্র কী রয়েছে তা খতিয়ে দেখে ডিআইবি’কে দ্রুত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
একটি পারিবারিক জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে নিজের খুড়তুতো দাদার বন্দুকের গুলিতে খুন হন সৎভাই বাপি পণ্ডিত। তার বাড়ি পূর্ব ভোলারডাবরির মাসানপাড়ায়। তৃণমূলের দাবি, নিহত বাপি তাদের যুব কর্মী। এই খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত পিস্তলটি উদ্ধারের পর পুলিস জানতে পারে পিস্তলটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত। তাতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিপ্লববাবু সামান্য একজন চশমা বিক্রেতা। তার হাতে কীভাবে পিস্তলের জন্য সরকারি ছাড়পত্র মিলল? যদিও এদিন আলিপুরদুয়ার আদালতে যাওয়ার পথে ধৃত বিজেপি কর্মী বিপ্লববাবু বলেন, সেদিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করতে এসেছিল বাপি। নিজেকে বাঁচাতে ধস্তাধস্তির সময় তার বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে বেরিয়ে গিয়েছিল। আমি কাউকে গুলি করিনি।
আলিপুরদুয়ার জেলার একদিকে আন্তর্জাতিক ভুটান সীমান্ত ও অন্যদিকে, অসম-বাংলা আন্তঃরাজ্য সীমান্ত। প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত ভোটের পরেই আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের তপসিখাতায় তৃণমূল যুব কর্মী তুষার বর্মনকে গুলি করে খুন করা হয়। গত বছরের নভেম্বর মাসে উত্তর পাটকাপাড়ায় রঙ্গলাল চৌধুরী নামে আরও এক তৃণমূল যুব কর্মীকে সামনে থেকে গুলি করে খুন করা হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার রাতে শহরের উত্তর অরবিন্দনগরে যুবক বাপি পণ্ডিতকেও সামনে থেকে গুলি করে খুন করা হয়।
পর পর এই খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত জেলাবাসী। জেলাবাসীর অভিযোগ, বাইরে থেকে জেলায় বেআইনি অস্ত্র ঢুকছে। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে প্রশাসন থেকে মুড়িমুড়কির মতো ব্যক্তিগত বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। যার দরুন জেলায় একের পর এক গুলির ঘটনা ঘটছে।
সামনেই আলিপুরদুয়ার পুরসভা ও ফালাকাটা বিধানসভার উপনির্বাচন। জেলার রাজনৈতিক মহলের ধারণা, পর পর এই গুলির ঘটনায় ও এই সব অভিযোগ উঠায় পুলিস পুরসভা ও উপনির্বাচনের মুখে আর কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ। তার জন্য জেলায় নতুন করে কাউকে ব্যক্তিগত বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়ার সুপারিশ তারা আপাতত করবে না। পুরনো লাইসেন্সগুলিও খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিস।