কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক মোস্তাক আলম বলেন,দলের জেলা কমিটির বৈঠক ইংলিশবাজারে ডাকা হয়েছে। নির্বাচনী ফলাফল চর্চার পাশাপাশি একাধিক সাংগঠনিক চর্চার বিষয়ও আছে। সংগঠনকে ঢেলে সাজানো, দলকে আন্দোলনমুখী করার পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। মঙ্গলবারই আমরা একটি প্রতিবাদ মিছিল করব। যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি, উভয় দল মিলেই হিংসার বাতাবরণ তৈরি করেছে তারই প্রতিবাদে মিছিল করা হবে। দলের অনেকেই বলেন, জেলায় কংগ্রেস একটি লোকসভা আসন জিতলেও সার্বিক ভোটপ্রাপ্তির নিরিখে তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছে। এই নিরিখেই দলের বিচার বিশ্লেষণ করতে হবে। প্রয়োজনে দলের কাঠামোর আমূল পরিবর্তন করতে হবে। একাধিক বিধায়কের এলাকায় আমরা পিছিয়ে পড়েছি। বিজেপি’র মেরুকরণ ও তৃণমূলের জবরদখলের রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। এই বিষয়গুলিই নির্বাচনী বিশ্লেষণ ও সাংগঠনিক চর্চায় উঠে আসবে।
তৃণমূলের জেলা নেতা দুলাল সরকার (বাবলা) বলেন, অন্য দলের বিষয়ে আমাদের কিছু বলার থাকতে পারে না। তৃণমূল কোনও হিংসার রাজনীতি করছে না। উলটে আমাদের নানারকম হিংসা ও চক্রান্তের শিকার হতে হচ্ছে।
সদ্য শেষ হয়ে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের গড় বলে দাবি করা মালদহে কংগ্রেসের শোচনীয় ফল হয়েছে। দক্ষিণ মালদহ আসনটি কোনওক্রমে জিতে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ডালুবাবু দলের এবং নিজের মুখরক্ষা করতে পেরেছেন। কিন্তু দলের বেহাল পরিস্থিতি বেআব্রু হয়ে গিয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ মালদহের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, নিজেদের গড়ে সার্বিক ভোটের নিরেখে তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছে কংগ্রেস। দুই লোকসভা মিলে কংগ্রেস ৭ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৪০ ভোট পেয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর প্রায় ৯ লক্ষ ভোট নিয়ে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি। লোকসভার সঙ্গে হয়ে যাওয়া বিধানসভা উপনির্বাচনেও জমানত বাজেয়াপ্ত হওয়ায় মুখ পুড়েছে কংগ্রেসের। প্রবাদপ্রতিম নেতা গনিখান চৌধুরী এবং কংগ্রেসের খাস তালুকে দলের এই বেহাল অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই চাপে আছে কংগ্রেস। বিশেষ করে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জেলার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া খুব জরুরি বলে দলের সকলেই মনে করছেন।
দল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংলিশবাজারের একটি বেসরকারি লজে ওই বৈঠক থেকে দলের জন্যে ভবিষ্যত কর্মপন্থা ঠিক করা হতে পারে। দলের স্থানীয়স্তরের কমিটি পরিবর্তনের ইঙ্গিতও নেতৃত্ব বৈঠকে দিয়ে রাখবেন। ভবিষ্যতে নিরিখে নতুন করে অঞ্চল থেকে ব্লক কমিটি সাজানোর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি দলকে আন্দোলনমুখী করার রূপরেখা নিয়ে চর্চা হবে। যার প্রথম ধাপ হিসাবে মঙ্গলবারই দলের পক্ষ থেকে শহরে মিছিল বের হবে।