কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, পারিবারিক বিবাদের জেরেই ওই ব্যক্তি এমনটা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা তথ্য পেয়েছি। মৃতের স্ত্রী’র অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতের ভাই কার্তিক ওঁরাও বলেন, দাদা একটু বদমেজাজি হয়ে গিয়েছিল। বৌদি বোঝাতেন। আমরাও বোঝাতাম। কিন্তু এমন কাণ্ড ঘটবে ভাবতেও পারিনি। দাদার আরও দু’টি ছেলেমেয়ে আছে। বৌদির কিছু হয়ে গেলে ওদের কী হবে ভাবতেও পারছি না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভজ্জু ওরাও পেশায় দিনমজুর। থানার এক কিলোমিটারের মধ্যে তার বাড়ি। ভজ্জুর তিনটি ছেলেমেয়ে। তার মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছেলেটির বয়স মাত্র দুই বছর। সম্প্রতি নানা কারণে স্ত্রী’র সঙ্গে ভজ্জুর বিবাদ লেগেই থাকত। সে হামেশাই স্ত্রী’কে বেদম পেটাত। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছিল যে, স্থানীয়স্তরে সালিশিও হয় এনিয়ে। প্রতিবেশীরা জানান, সম্প্রতি ওই যুবকের মানসিক স্থিতি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। কিছুদিন আগে সে কাজের খোঁজে চেন্নাইতে যায়। কিন্তু সেখান থেকে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। প্রায় তিনমাস পরে সে আচমকাই বাড়ি ফিরে আসে। তখনই তার স্বভাবে কিছু পরিবর্তন আত্মীয় থেকে প্রতিবেশীদের নজরে পড়ে। ওই যুবক সবসময় আতঙ্কে থাকত যে তাকে কেউ মারতে আসছে। এনিয়ে স্ত্রী থেকে প্রতিবেশী কেউই তাকে বুঝিয়ে স্বাভাবিক করতে পারেনি। এনিয়েও স্ত্রী’র সঙ্গে তার বিবাদ হতো।
শনিবার রাতে কার্যত আচমকাই ওই যুবক রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত স্ত্রীকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপাতে শুরু করে। পাশে থাকা দু’বছরের ছেলেও সে কোপায়। কোনওরকমে ছেলেকে নিয়ে বাড়ির বাইরে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করলেও বাড়ির কাছে লুটিয়ে পড়েন ওই মহিলা। ততক্ষণে মারমুখী বাবাকে দেখে ১০ বছরের ছেলে ও ৫ বছরের মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এরপরেই ওই যুবক ঘরের দরজা বন্ধ করে ফাঁস দিয়ে দেয়। প্রতিবেশীরাই সকলকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল ভর্তি করায়। সেখানে ভজ্জু মারা যায়। তার ছেলে ও স্ত্রীকে মেডিক্যাল থেকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।