কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
উল্লেখ্য, শনিবার সন্দেশখালিতে বিজেপি’র কর্মীদের খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার রাজ্য জুড়ে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দেয় বিজেপি। এই আন্দোলনের অঙ্গ হিসাবেই এদিন ইংলিশবাজারের রথবাড়ি মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। সেই কর্মসূচির কিছুক্ষণ আগেই রায়গঞ্জ থেকে মালদহ এসে পৌঁছন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। অবরোধে বসার আগে পুষ্পস্তবক দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। দলীয় কর্মীদের আন্দোলন চালিয়ে যাবার উৎসাহ দেন দেবশ্রী চৌধুরী। এর পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, সন্দেশখালিতে বিজেপির উপর নৃশংস আক্রমণ করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পশ্চিমবঙ্গে কালো জমানা বলতে ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত সময়কে বোঝাত। কিন্তু তৃণমূলের অত্যাচার এবং স্বৈরাচারের মাত্রা ৭২-এর কালো দিনগুলিকেও বহু গুণ ছাড়িয়ে গিয়েছে। দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, মনে রাখতে হবে তৃণমূল রাজ্য স্তরের একটি দল। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তাদের বিধায়ক, কাউন্সিলররা তৃণমূল ছেড়ে দিচ্ছেন। তৃণমূল বর্তমানে ক্ষয়িষ্ণু। বিজেপির মতো সর্বভারতীয় দল ইচ্ছা করলেই পিষে মেরে দিতে পারে তৃণমূলকে। তবে আমরা আমাদের রাজনৈতিক শক্তি দিয়েই তৃণমূলের মোকাবিলা করছি। তৃণমূলের বাড়াবাড়ি ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে দিলে আমরা রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হব। কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের দাবি জানাব। দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, নিজের দলের উপরই এখন মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণ নেই। বিজয় মিছিল করতে তিনি নিষেধ করার পরের দিনই বীরভূম জেলার বোলপুরে তৃণমূল বিজয় মিছিল করেছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে তৃণমূলে এখন কেউ কারও কথা শোনে না।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এদিন পুলিসকেও একহাত নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, এ রাজ্যের পুলিস দলদাস হয়ে গিয়েছে। নিজেদের চাকরি বাঁচানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী যা চাইছেন তাই করছে পুলিস। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের রাজনৈতিক আন্দোলন মোকাবিলা করতে পাঠানো হচ্ছে। পুলিস ভুলে যাচ্ছে তার এক্তিয়ার কতটুকু। পুলিস তৃণমূলের হয়ে কাজ করলে একই সঙ্গে তৃণমূল ও পুলিসের মোকাবিলা বিজেপি কর্মীরা করে নেবেন বলে জানিয়ে দেন দেবশ্রী চৌধুরী।
এদিকে জাতীয় সড়কের ওপর প্রায় ৩০ মিনিট ধরে অবরোধ ও বিক্ষোভ চালিয়ে যান বিজেপি কর্মীরা। মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। তবে কোনো পক্ষই আক্রমণাত্মক না হয়ে ওঠায় এদিন বিজেপির জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়। পাশাপাশি সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে এদিন গাজোলেও প্রতিবাদ মিছিল করে বিজেপি। শতাধিক বিজেপি কর্মীর ওই মিছিল গাজোলের বিদ্রোহী মোড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে বিদ্রোহী মোড়ে গিয়েই শেষ হয়। এদিন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা রাম, লক্ষণ, বজরংবলী সহ নানা সাজে সজ্জিত হয়ে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হন। স্থানীয় উপপ্রধান বিজেপির কাজল কুণ্ডু বলেন, সন্দেশখালিতে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের খুনের প্রতিবাদে মিছিল হয়েছে।