যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
জলপাইগুড়ি লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঠিক কী হবে, ১৮ এপ্রিল ভোটের দিন থেকে সেই হিসাব কষা শুরু হয়েছে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৭০ হাজার ভোটে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে বিজয়চন্দ্র বর্মন বাম প্রার্থীকে পরাজিত করেছিলেন। এবারে বামেরা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তারা যে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে বিগত একাধিক ভোটের ফলাফলে সেটা স্পষ্ট হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের নিরিখে বিজেপির তৃণমূল কংগ্রেসের ধারে কাছে থাকার কথা নয়। কিন্তু গত কয়েক বছরে তিস্তা, করলা, জলঢাকা দিয়ে যেমন অনেক জল বয়ে গিয়েছে, তেমনি জেলার রাজনীতিতে শাসক-বিরোধী একটি চোরাস্রোত বিজেপির পক্ষে এবারের লোকসভা নির্বাচনে কাজ করেছে। এবারের ভোট ম্যানেজাররাও ভোটের সঠিক হিসেব খুঁজে পাচ্ছেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী দাবি করেছেন, এবারে দলীয় প্রার্থী রেকর্ড ভোটেই জয়ী হবেন। সেটা রাজ্যে সেরা দশজন জয়ী প্রার্থীর মধ্যে একজনও হতে পারেন। যদিও তাঁর সেই দাবিকে উড়িয়ে করে দিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, খুব কম হলেও আমাদের প্রার্থী জয়ন্ত রায় অন্তত ৫০ হাজার ভোটে জয়ী হবেন। রাজনৈতিকমহলের বক্তব্য, ব্যবধান যাই হোক না কেন একজন প্রার্থীকে তো হারতেই হবে। দলের প্রার্থী পরাজিত হলে সেই দলের ভোটের মূল সেনাপতির কী হতে পারে?
রাজনৈতিকমহলের মতে, জেলা বিজেপির রাজনীতির একাধিক নেতা এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ওই দলের হয়ে শেষ পর্যন্ত টিকিট দেওয়া হয় চিকিৎসক জয়ন্তবাবুকে। প্রার্থী নিয়ে বিজেপির অভ্যন্তরে একটা ঠান্ডা লড়াই ভোটের দিন পর্যন্ত ছিল। তাই প্রার্থীর ফলাফল খারাপ হলে বিজেপির জেলা সভাপতির উপরই দায় বর্তাবে। বিরোধী শিবিরও রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করে দলের জেলা সভাপতির উপর চাপ বাড়িয়ে দেবে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর পরাজয় হলে দায়ভার নিয়ে দলের বিরোধী শিবিরের নেতারাও একইভাবে সরব হবেন।