কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
অন্যান্য করোনা ভাইরাসের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে এবার আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় লক্ষ্য করেছেন বিজ্ঞানীরা। সেটি হল, ২০০৩ সালের করোনা ভাইরাস বা সার্স-এর ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে, ওই বছরের মে থেকে জুন মাসের মধ্যে ধীরে ধীরে রোগের প্রাদুর্ভাব কমে গিয়ে শেষ হয়ে যায়। বলা বাহুল্য, মে থেকে জুন মাসের তীব্র গরম এবং আর্দ্র পরিবেশ আজকের ‘২০১৯ নভেল করোনা ভাইরাস’-এর অগ্রজ সার্সকে বাড়তে দেয়নি। তাঁরা জানিয়েছেন, ঠিক এই কারণেই এই ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা খুবই কম আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া এবং পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধের বিভিন্ন দেশে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের করোনা মোকাবিলায় তৈরি কমিটি’র সদস্য ডাঃ বিভূতি সাহা যদিও বলেছেন, সূর্যালোক ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের পক্ষে ক্ষতিকর। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে করোনার জন্য এমন কোনও তথ্য আমার জানা নেই। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালস্থিত কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম ভাইরাস রিসার্চ অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি (ভিআরডিএল) প্রধান ডাঃ শান্তা দত্ত বলেন, সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মিতে মাত্র দু’ঘন্টা কোনও ভাইরাস রাখলেই সে বাঁচতে পারে না। করোনার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারব না। কারণ, গবেষক এবং রোগনির্ণয়কারী সংস্থা হলেও এখন আমাদের দম ফেলবার ফুরসৎ নেই। আগে দেশের মানুষের প্রাণ তো বাঁচুক, তারপর করোনা নিয়ে নাহয় খুঁটিনাটি গবেষণা চলবে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালস্থিত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর ভাইরাস ইউনিটের প্রাক্তন ইনচার্জ ডঃ শ্যামলেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, করোনা, সার্স এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সাধারণভাবে ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বাঁচতে পারে না। সাধারণভাবে দেখা গিয়েছে, বড় মহামারী জাতীয় সংক্রমণগুলি হয়ে থাকে শীতের শেষদিকে বা গরমকাল থেকে শীতের শুরুতে। তারপর তারা সারাটা শীতে দাপিয়ে বেড়ায়। প্রবলভাবে গরম পড়লে অধিকাংশক্ষেত্রে আর অস্তিত্বই থাকে না। পিজি হাসপাতালের মেডিসিনের প্রধান এবং রাজ্য সরকারের করোনা মোকাবিলা কমিটি’র সদস্য ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ বলেন, হ্যাঁ, আমরা দেখেছি, অতিরিক্ত তাপমাত্রা, বেশি আর্দ্রতা এবং সূর্যালোক—এই তিনটিই মারণ ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়াকে বাঁচতে দেয় না।