কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
এই মুহূর্তে শুধুমাত্র দুটি রুটে চলা আইআরসিটিসি তেজস এক্সপ্রেসের লেট-রানের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ পান সংশ্লিষ্ট যাত্রীরা। যদিও আইআরসিটিসি (ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন) পরিচালিত ট্রেনকে ঠিক সেই অর্থে ‘বেসরকারি’ বলা যায় না। কারণ আইআরসিটিসি রেলমন্ত্রকেরই অধীনস্থ একটি সংস্থা। তাছাড়া আইআরসিটিসি তেজসে ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে লেট-রানের সময়সীমাও তুলনায় বেশি। এক্ষেত্রে এক ঘণ্টার বেশি লেটে চললে যাত্রীরা ১০০ টাকা করে এবং দু’ঘণ্টার বেশি লেট হলে যাত্রীরা ২৫০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পান। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক যাত্রা চালু হওয়া আমেদাবাদ-মুম্বই তেজস এক্সপ্রেস গতকালই প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে মুম্বই সেন্ট্রাল স্টেশনে পৌঁছেছে। যার জেরে এর ৬৩০ জন যাত্রীকে ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইআরসিটি। অন্যদিকে, গত ১৯ অক্টোবর দিল্লিতে পৌঁছতে তিন ঘণ্টারও বেশি লেট হওয়ায় লখনউ-দিল্লি তেজস এক্সপ্রেসের ৯৫০ জন যাত্রীকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে আইআরসিটিসি। রেলমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্র জানাচ্ছে, আক্ষরিক অর্থেই যেগুলি বেসরকারি সংস্থার দ্বারা পরিচালিত ট্রেন হতে চলেছে, সেগুলি লেট-রানের সময়সীমা তাই অনেক কমিয়ে ১৫ মিনিট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, বেসরকারি সংস্থা যখন ট্রেন চালাবে, তখন স্বাভাবিকভাবেই সেইসব ট্রেনের যাত্রীভাড়া তুলনায় বেশি হবে। সেক্ষেত্রে যাত্রীরা কোনওমতেই ‘লেট’ করে গন্তব্যে পৌঁছতে চাইবেন না। ফলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা চালু হলে যাত্রী-অসন্তোষ যেমন মাত্রাছাড়া হবে না, তেমনই সময়ে ট্রেন চালানোর ব্যাপারে বেসরকারি সংস্থাগুলিও যথেষ্ট চাপে থাকবে। এর আগে রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব জানিয়েছিলেন, যেসব বেসরকারি সংস্থা ট্রেন পরিচালনার দায়িত্ব নেবে, তারা চাইলে রেলের ট্রেন ‘লিজ’ নিয়েও চালাতে পারে। অথবা নিজেদের রেকও নিয়ে আসতে পারে। বেসরকারি ট্রেন হলেও এর চালক এবং গার্ড হবেন রেলেরই কর্মী। শুধুমাত্র অন-বোর্ড পরিষেবার ব্যবস্থা করবে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থা।