গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
আজ এখানে এই ইস্যুতে একযোগে সাংবাদিক বৈঠক করে সিপিএম, সিপিআই, এলজেডি এবং আরজেডি। সিএএ-এনআরসি-এনপিআর বিরোধী অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে পুলিসি হেনস্তার শিকার হয়েছেন, এমন কয়েকজন মানুষকেও হাজির করানো হয় ওই মঞ্চে। এলজেডির শারদ যাদব বলেন, ‘দেশের সর্বত্র জঙ্গলরাজ চলছে। জরুরি অবস্থার থেকেও খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জরুরি অবস্থার সময় যাঁরা জেলবন্দি হয়েছিলেন, তাঁরা পুলিসি হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ, যাঁরা বাইরে ছিলেন, তাঁরা তুলনায় নিরাপদ ছিলেন। এখন সম্পূর্ণ উল্টো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’ এই ইস্যুতে এদিন বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে তুলোধনা করেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ সহ সব বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেই এই সমস্যা হচ্ছে। পুলিসি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। বিরোধিতা করলেই দেশদ্রোহীর তকমা সেঁটে দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তানের সুরে কথা বলছেন বিরোধীরা, এমন অভিযোগও করা হচ্ছে।’ আরজেডির মনোজ ঝা বলেন, ‘আমরা কোনও মধ্যযুগে বাস করছি না। মুখ্যমন্ত্রীরাও রাজা-মহারাজা নন, বিরোধিতা করলেই তাঁরা বদলা নেওয়ার কথা বলবেন।’ উত্তরপ্রদেশ পুলিসের প্রাক্তন আইজি এস আর দারাপুরী এদিন অভিযোগ করেছেন, সিএএ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য তাঁকে একটানা ২১ দিন পুলিসি নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে।’ এদিনই ‘জন একতা জন অধিকার আন্দোলন’ সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, সিএএ বিরোধিতায় তারা আগামী ৩০ জানুয়ারি দেশজোড়া মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে।