উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
তবে রিভিউ পিটিশনটি খারিজ হয়ে গেলেও রাফাল ইস্যুতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জারি থাকবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। এই ব্যাপারে তিন বিচারপতির অন্যতম বিচারপতি কে এম জোসেফের পৃথক রায়ের একটি অংশকে হাতিয়ার করেছেন রাহুল। বিচারপতি জোসেফের রায়ের কিছু অংশকে লাল কালিতে আন্ডারলাইন করে ট্যুইটও করেছেন রাহুল। বলেছেন, তদন্তের দাবি করার এখনও সুযোগ রয়েছে। তাই এই ব্যাপারে যৌথ সংসদীয় কমিটি তৈরি হোক। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কাউল রায় লেখার পরেও বিচারপতি কে এম জোসেফ আলাদা একটি রায় লিখেছেন। যদিও দুটি রায়ের ক্ষেত্রে মূল বক্তব্য একই। রিভিউ পিটিশনটি খারিজই করা হয়েছে। তবে বিচারপতি জোসেফ বলেছেন, এই রায়ের পরেও সিবিআই যদি আইন মোতাবেক কোনও তদন্ত করতে চায়, তাতে কোনও বাধা নেই।
গত লোকসভা ভোটে রাফাল যুদ্ধবিমান ইস্যুকেই মোদি সরকারকে চেপে ধরার অন্যতম হাতিয়ার করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তুলেছিলেন দুর্নীতির অভিযোগ। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বিজেপির যশবন্ত সিনহা, বাজপেয়ি সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী অরুণ শৌরি এবং আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। কিন্তু আজ রিভিউ পিটিশনের রায়েও মোদি সরকারকে ক্লিনচিট দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাই কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেলেও ভাঙব তবু মচকাব না, স্ট্যান্ড নিয়েছেন রাহুল।
রায় ঘোষণা হতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি তুলেছেন, কংগ্রেসকে ক্ষমা চাইতে হবে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘রাহুল গান্ধীকে সুপ্রিম কোর্ট ভৎর্সনা করেছে। রাহুল যেভাবে প্রধানমন্ত্রীকে চোর বলে অপমান করেছেন, তার জন্য কংগ্রেসকে ক্ষমা চাইতে হবে। তাঁর আরও মন্তব্য, রাহুল এবার দেশবাসীকে জানান কাদের অঙ্গুলিহেলনে তিনি রাফাল ইস্যু নিয়ে উঠেপড়ে লেগেছিলেন।’ আর এদিন রাফাল ও সবরীমালা রায়দানের পর শেষ হল বহু প্রতীক্ষিত চারটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার ভাগ্য নির্ধারণ। শুক্রবারই দপ্তরে শেষ দিন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের। তারপর অবসর।