উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
ইবি’র অফিসাররা বিভিন্ন বাজারে ওষুধের দোকানে তল্লাশি শুরু করেছেন। হোলসেল মার্কেটেও ঢুঁ মেরেছেন তাঁরা। কলকাতার মেহতা বিল্ডিং, বাগরি মার্কেটে ওষুধের কারবারে যুক্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁদের। কারণ এই দুটি জায়গা থেকে পেটি পেটি ওষুধ কলকাতা ও তার লাগোয়া জেলায় যায়। দূরের জেলাগুলিতেও এখান থেকে বিভিন্ন ওষুধ সরবরাহ হয়। অবশ্য বিভিন্ন জেলায় ওষুধের পাইকারি বাজার আছে। সেখানেও হানা দিচ্ছেন রাজ্য পুলিসের ইবি’র অফিসাররা।
ওষুধের কারবারে যুক্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে অফিসাররা জানতে পেরেছেন, ‘ভিটামিন সি’ ট্যাবলেটের চাহিদা তুঙ্গে। কিন্তু সেই অনুপাতে জোগান নেই। যে কারণে অনেকে দোকানে এসে ‘ভিটামিন সি’ ট্যাবলেট চাইলেও খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। জেলায় জেলায় এই ট্যাবলেটের আকাল চলছে। পুলিস জেনেছে, এর দাম বেশ কম। এক-একটি স্ট্রিপের দাম ৭০ থেকে ৭৫ টাকার মধ্যে। ‘ভিটামিন সি’র শিশির দাম ১৫০ টাকার কাছাকাছি। অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় এই ট্যাবলেট বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। খরিদ্দারদের স্পষ্ট বলে দেওয়া হচ্ছে, বাড়তি টাকা না দিলে মিলবে না ট্যাবলেট। দোকানদারদের যুক্তি, তাঁরা বাড়তি দামে কিনছেন, তাই ন্যায্য দামে বিক্রি করা যাচ্ছে না।
খোঁজখবর করতে গিয়ে অফিসাররা জানতে পেরেছেন, বাজারে ‘ভিটামিন সি’ ট্যাবলেটের কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে রেখেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। উৎপাদনে খামতি নেই। বাজারে জোগানও আসছে। আকাল পড়ার মতো পরিস্থিতি নেই। ইবি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বড় বড় ডিস্ট্রিবিউটারদের কাছ পেটি পেটি ওষুধ তুলে নিচ্ছে অসাধু চক্র। তা তারা মজুত করছে নিজেদের গুদামে। ওষুধের দোকানিদের বলা হচ্ছে, সাপ্লাই নেই। এভাবেই কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করছে তারা। এরপর চার-পাঁচ গুণ দামে ‘ভিটামিন সি’ ট্যাবলেট বিক্রি করছে এই চক্র। ওষুধের দোকানের মালিকদের একাংশ এই কারবারে জড়িত বলে অনুমান অফিসারদের। তাঁরাও মজুত ভাণ্ডার গড়ে তুলেছে বলে খবর। ক্রেতাদের প্রথমে বলা হচ্ছে, ওষুধ নেই। তবে কেউ বাড়তি দাম দিতে রাজি হলে মিলছে ‘ভিটামিন সি’ ট্যাবলেট। এছাড়াও আমলকির রস বা ভেষজের কালোবাজারি সমান্তরালভাবে চলছে বলে অভিযোগ। সেকারণে মজুত ভাণ্ডার কোথায় আছে, তার খোঁজ চালাচ্ছেন ইবি’র অফিসাররা।