কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
রাজ্যে রেশন ডিলারদের কাছে যে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়, তা ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে হয়। রাজ্যে প্রায় সাতশো ডিস্ট্রিবিউটর ও ২০ হাজার রেশন ডিলার আছেন। কেন্দ্রীয় সরকার রেশন ব্যবস্থায় কমিশন ধার্য করেছে কুইন্টাল প্রতি ৭০ টাকা। এই টাকা ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরদের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছে খাদ্য দপ্তর। ডিলারদের দেওয়া হয় ৫৪ টাকা। ডিস্ট্রিবিউটরদের দেওয়া হয় ১৬ টাকা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আগেই নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রেশন ডিলারদের কাছে সরাসরি খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করতে হবে। এতে পুরো কমিশনই ডিলারদের পাওয়ার কথা। কিন্তু এ রাজ্যে সেটা হচ্ছে না। এতে ডিলাররা স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুদ্ধ। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, তাঁরা অনেকদিন ধরে পুরো কমিশনই ডিলারদের দেওয়ার জন্য খাদ্য দপ্তরের কাছে দাবি করে আসছেন। অন্যদিকে, এম আর ডিস্ট্রিবিউটরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, কুইন্টাল প্রতি কমিশন ১৬ টাকা থেকে ২৫ টাকা করার জন্য ফুড কমিশনার মনোজ আগরওয়ালকে তাঁরা চিঠি দিয়েছেন। এখন যে কমিশন দেওয়া হয়, তা খুবই কম। এতে কাজ চালানো যাচ্ছে না। ডিলারদের পাশাপাশি ডিস্ট্রিবিউটরদের কমিশন বাড়াতে হবে সরকারকে।
খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের উপর অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা না চাপিয়ে ডিলারদের কমিশন কিছুটা বাড়াতে চাইছেন না তাঁরা। কমিশন বাবদ যে অর্থ দেওয়া হয়, তার অর্ধেক কেন্দ্রীয় সরকার দেয়। বাকিটা রাজ্য সরকারের। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার আগেই চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছে, ডিলারদের কমিশন বাড়ানোর অতিরিক্ত কোনও আর্থিক দায় তারা নেবে না। বেশি কমিশন দিলে তার দায় রাজ্যকে নিতে হবে। অনেকগুলি রাজ্যেই স্থানীয় সরকার ডিলারদের অতিরিক্ত কমিশন দিচ্ছে বলে বিশ্বম্ভরবাবু জানিয়েছেন। কুইন্টাল প্রতি দু’শো টাকা কমিশন দেওয়া হচ্ছে কোনও কোনও রাজ্যে। অন্যদিকে, ডিস্ট্রিবিউটরদের সংগঠন দাবি করেছে, রাজ্য সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে তাঁদের কমিশন দিক। কিন্তু খরচ বাড়বে এই কারণে খাদ্য দপ্তর এতে রাজি হতে পারছে না। এখন যে কমিশনের হার আছে, তার মধ্যে থেকে ডিলারদের কমিশন কিছুটা বাড়াতে চাইছে। কিন্তু তাতে কোনও অবস্থাতেই ১৬ টাকার বেশি কমিশন বাড়বে না। এতে আবার ডিলারদের খুশি করা যাবে না। তারা আড়াইশো টাকা বৃদ্ধি চাইছে।
এখন রেশনের খাদ্যসামগ্রী এফসিআই ও খাদ্য দপ্তরের গুদাম থেকে প্রথমে ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে আসে। তাদের গুদাম থেকে রেশন দোকানে জিনিস সরবরাহ করা হয়। সরাসরি রেশন দোকানে সরবরাহ করার পরিকাঠামো এখনও সরকারি পর্যায়ে নেই।