কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারই বিধাননগরে সংক্রামিত সংখ্যা ১২০০-র গণ্ডি টপকে গিয়েছিল। শুক্রবার তা আরও বাড়ল। স্বাস্থ্যদপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এদিন বিধাননগরে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তবে দেখা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে কিছু মানুষ বিধাননগর পুর এলাকার বাসিন্দা নন। প্রশাসন সূত্রে খবর, শুধুমাত্র বিধাননগরবাসীকে হিসেবের মধ্যে ধরলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ১৩৪৭। পুর প্রশাসন সূত্রে খবর, সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্য একটি সেফ হোম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিধাননগর পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগ কমিউনিটি হলটিকে আপাতত সেফ হোম করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ২০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিধাননগরের কোভিড পজিটিভ কোনও বাসিন্দা প্রয়োজন মনে করলে সেখানে গিয়ে আইসোলেশনে থাকতে পারেন। সেখানে ২৪ ঘণ্টা ডাক্তারের নজরদারিতে রাখা হবে রোগীদের। বিধাননগরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কুসুম অধিকারী গোটা বিষয়টি তদারকি করছেন। তবে পুরসভার কমিশনার দেবাশিস ঘোষ জানিয়েছেন, এখনও কোনও রোগী সেখানে থাকার জন্য আর্জি জানাননি। তবে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। বিধাননগর পুলিস কমিশনারেট সূত্রে খবর, মাইক্রো কন্টেইনমেন্টের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ডেপুটি কমিশনার (সদর) সূর্যপ্রতাপ যাদব জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় মোট ২৮টি মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে। তবে এর মধ্যে বিধাননগর ছাড়াও দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১০টি ওয়ার্ড, এনকেডিএ এবং রাজারহাট গ্রামীণ এলাকায় রয়েছে। তবে সংক্রমণ বাড়লেও শুধুমাত্র বিধাননগর পুরসভা এলাকায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমেছে। পুর এলাকায় এই মুহূর্তে ১৪টি কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে।
পাশাপাশি দক্ষিণ দমদম এলাকায় সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি পুরসভার। মুখ্য প্রশাসক জানিয়েছেন, শনিবার পুর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৫। শুক্রবারও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩৫ জন। পুরসভা সূত্রে খবর, এদিন রবীন্দ্র ভবনের সেফ হোমে নতুন করে দু’জন ভর্তি হয়েছেন।