উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে থাকা চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা হাওড়া শহর লাগোয়া। ফলে সেখানে অনেক বহুতল তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এতদিন এই বহুতলের অনুমোদনের জন্য হাওড়া জেলা পরিষদে আবেদন করতে হত। কিন্তু, এবার সিদ্ধান্ত হয়েছে, পঞ্চায়েত সমিতি তিনতলা পর্যন্ত বাড়ির অনুমোদন দেবে। তার বেশি তলা হলে তা জেলা পরিষদ থেকে নিতে হবে। এতে স্থানীয় লোকজনের সুবিধা হবে বলেই পঞ্চায়েত সমিতির কর্তারা মনে করছেন।
সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ বলেছেন, এতদিন আমাদের কাছে বিল্ডিং প্ল্যানের জন্য অনুমোদন চাইলে তা আমরা জেলা পরিষদে পাঠিয়ে দিতাম। সেখান থেকেই প্ল্যান অনুমোদন দেওয়া হত। কারণ আমাদের পরিকাঠামো ছিল না। আমরা এবার তিনতলা পর্যন্ত বাড়ির প্ল্যানের অনুমোদন দেব। অনেকগুলি আবেদন আমাদের কাছে জমা হয়েছিল। শুক্রবার তার অনেকগুলি অনুমোদন হয়েছে। বাকিগুলিও করে দেওয়া হবে।
হাওড়া শহর লাগোয়া আন্দুল রোডে একের পর এক বহুতল গজিয়ে উঠছে। এগুলি সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত। ফলে নামে পঞ্চায়েত সমিতির এলাকা হলেও বাস্তবে শহুরে ভাব এই এলাকায় আছে। এই কারণে এই এলাকায় বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহের সিদ্ধান্তও পঞ্চায়েত সমিতি নিয়েছে। কিন্তু, তিনতলা বাড়ির প্ল্যান অনুমোদনের জন্যও সকলকে হাওড়া জেলা পরিষেদে যেতে হত। তার জন্য অনেক সময় ব্যয় হত। কিন্তু, সিদ্ধান্ত হয়েছে, জেলার প্রতিটি পঞ্চায়েত সমিতিই এই অনুমোদন দিতে পারবে। তার জন্য পরিকাঠামোগত উন্নতিও করা হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির ইঞ্জিনিয়াররাই তার পর্যবেক্ষণ করবেন। নিয়ম না মেনে কেউ বাড়ি করলে তার বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত সমিতিই ব্যবস্থা নিতে পারবে। এতদিন জেলা পরিষদের হাতেই এই ক্ষমতা ছিল। কিন্তু, জেলা পরিষদের নজরদারির অভাবে অনেকেই নিয়ম না মেনেই বাড়ি তৈরি করেছেন। তা নিয়ে অনেক অভিযোগও জমা হয়েছে। কিন্তু, স্থানীয়স্তরে নজরদারি থাকলে অনিয়ম এড়ানো যাবে বলেই প্রশাসনের কর্তারা মনে করছেন।