Bartaman Patrika
 

প্রবীণা ঝাঁটা উপহার দিলেন
গোবিন্দ অধিকারীকে

যাত্রাওয়ালাদের পালা দেখে চোখের জলে ভাসেন দর্শকরা। কেউ আনন্দে শিল্পীর দিকে ছুঁড়ে দেন টাকাপয়সা, কেউ বা দেন গায়ের চাদর। লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস।

নৈহাটির কাঁঠালপাড়ায় যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে প্রতি বছর কয়েকদিনের জন্য যাত্রাগানের আসর বসত। বিশেষ করে রথযাত্রার সময় হতো পালাগান। তিনি ছিলেন তখনকার পালাগানের বিশেষ অনুরাগী। তখন যাত্রাপালায় বদন অধিকারীর খুব সুখ্যাতি। তিনি দূতী সেজে আসরে এসে গানে গানে মানুষকে আনন্দে ভরিয়ে দিতেন। প্রতি বছর চাটুজ্জেদের বাড়িতে তাঁর ছিল বাঁধা আসর। বদন যখন নেচে নেচে গান করতেন তখন যাদবচন্দ্রের ছেলেরা তাঁর পাশে বসে সেই পালাগান উপভোগ করতেন। তার মধ্যে একজন ছিলেন সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ছেলেবেলায় তিনি শুনেছিলেন বদন অধিকারীর গান। বড় হয়ে শুনতেন বদনের শিষ্য গোবিন্দ অধিকারীর গান। সেই স্মৃতিকেই তিনি তাঁর উপন্যাসে অন্যভাবে এনেছিলেন। ‘বিষবৃক্ষ’ উপন্যাসে হরিদাসী বৈষ্ণবীর ছদ্মবেশে দেবেন্দ্র মেয়েদের অন্দরে গিয়ে গান শুনিয়ে আসত। কেউ বলতেন, গোবিন্দ অধিকারীর গান শোনাতে। আবার কেউ বা অনুরোধ করতেন গোপাল উড়ের গান শোনাতে। ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় সেকালের যাত্রা নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। সেগুলি অনেকাংশে যাত্রার ইতিহাসকে ধরে রেখেছে।
বদন তখন বাংলাকে তাঁর পালাগানে মাতিয়ে রেখেছেন। তাঁর গান বাঁধার কেরামতি ছিল একেবারে অন্য ধরনের। অশ্লীলতা বিমুক্ত পালা রচনা করে তিনি এক সর্বজনীন আসরের প্রসার ঘটিয়েছিলেন। নবরূপে তিনি আসরে আনলেন কালীয়দমন পালাকে। রাধা সেজে বদন গান ধরতেন—
‘কুঞ্জে কুঞ্জে বুলি বুলি বনফল আনিলাম তুলি,/ গাঁথিলাম হার মনের মতো সাজাইলাম থরে থরে। / সকলি হইল বৃথা, তারে এখন পাব কোথা / মনে ছিল কত কথা কহিতাম শ্যাম নটবরে।’
দুচোখ বয়ে যায় রাধিকার। কোথা শ্যাম, কোথা শ্যাম! দর্শকরা আকুল। তাঁরাও ভেসে যান চোখের জলে। আত্মহারা দর্শকরা কেউ পয়সা ছুঁড়ে দেন, কেউ গায়ের চাদর উপহার দেন। কোথাও কোথাও চিকের আড়ালে বসে পালা দেখতে দেখতে অভিভূত মেয়েরা হাতের চুড়ি, কানের দুল খুলে উপহার স্বরূপ ছুঁড়ে দিতেন বদনের দিকে।
বদন ছিলেন হাওড়ার শালিখার বাসিন্দা। অল্প বয়সেই দলের সঙ্গে থেকে থেকে মানুষের ভালোলাগার নাড়িনক্ষত্র সব রপ্ত করেছিলেন। বিরহ এবং ভাব সম্মিলনের বিভিন্ন গানে তিনি তাঁর ‘ওস্তাদী’ দেখিয়েছিলেন। বিদ্যাপতির মৈথিলি ভাষায় লেখা বহু পদকে ভেঙে তিনি সাধারণ মানুষের বোধগম্য করে নবরূপে রচনা করেছিলেন।
বদনের মৃত্যুর পর তাঁর দলের হাল ধরলেন তাঁর ছেলে ক্ষেত্র। কিন্তু তিনি তেমন যোগ্যতাসম্পন্ন ছিলেন না। তাই বদন অধিকারীর দল আর বেশি এগতে পারেনি। তবে বদনের উত্তরাধিকার বহন করেছিলেন তাঁর এক শিষ্য গোবিন্দ অধিকারী। তাঁর জন্ম মোটামুটি বাংলা ১২০১ থেকে ১২০৫ সালের মধ্যে। সুকুমার সেন মহাশয় তাঁকে সেই সময়কার একজন অগ্রগণ্য বলে উল্লেখ করেছেন। গোবিন্দ অধিকারী ছিলেন বৈরাগী। পাঠশালার শিক্ষা তিনি তেমনভাবে পাননি। কিন্তু অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আয়ত্ত করেছিলেন শাস্ত্র। ছেলেবেলায় সেই যে গানের দলে ঢুকে পড়লেন, আর তাঁর কোথাও যাওয়া হল না। বদনের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখে নিজেই তৈরি করেছিলেন নতুন দল। সেই দলের পালা দেখতে লোকে তখন দশ-বিশ ক্রোশ দূর থেকে হেঁটে চলে আসতেন। তিনি যখন জরি বসানো লাল শাড়ি আর গয়না পরে মেয়ে সেজে আসরে দাঁড়াতেন, তখন নাকি দর্শকরা দৃষ্টি ফেরাতে পারতেন না। গা ভর্তি গয়না পরে তিনি অভিনয় করতেন। শোনা যায়, সেসব নাকি আসল সোনার গয়না। দলের অন্য শিল্পীরা, যাঁরা মহিলার ভূমিকায় অভিনয় করতেন, তাঁরা পরতেন কলাপাতার গয়না। একবার তিনি আসরে নামার আগে মেক আপ করছিলেন। তখন হাতের বাউটি পরার সময় সেটির কাঠিটি যেন কোথায় ছিটকে পড়ে যায়। তাড়াতাড়ি মেক আপের জন্য তিনি স্থানীয় একটি ছেলেকে বললেন, ‘বাবা একটা ঝাঁটার কাঠি আনতে পারবি?’ ছেলেটি গিয়ে আসরের পাশের বাড়ির এক বৃদ্ধাকে বলল, ‘ওরা একটা ঝাঁটার কাঠি চাইছে।’ সেকথা শুনে বৃদ্ধা মুখ ঝামটা দিয়ে বললেন, ‘বেরো এখান থেকে, ঝাঁটার কাঠি চাইতে এসেছে।’ ছেলেটি গিয়ে গোবিন্দ অধিকারীকে সেকথা জানায়। গোবিন্দ কোনওরকমে হাতের বাউটি পরে আসরে নামেন। সেদিন তাঁর গান শুনে আসরে বসে সেই বৃদ্ধা ঝরঝর করে কেঁদেছিলেন। তারপর পালা শেষ হলে বাড়ি থেকে একটি ঝাঁটা নিয়ে এসে সেটি গোবিন্দ অধিকারীর হাতে তুলে দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমায় ক্ষমা কোরো বাবাঠাকুর। আমি বুঝতে পারিনি। তুমি একটা কাঠি চেয়েছিলে। আমি তখন দিইনি। এখন পাশ্চিত্তির করলাম। তোমার হাতে পুরো ঝাঁটাটাই দিলাম।’
গোবিন্দ অধিকারীকে ঝাঁটা দিচ্ছে দেখে আসরে দর্শকরা হাঁ হাঁ করে উঠলেন। গোবিন্দ সকলকে থামিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘আপনারা উতলা হবেন না। এ আমার পুরস্কার। এই ঝাঁটা প্রদানের মধ্যে কোনওরকম ব্যঙ্গ বা অশ্রদ্ধা নেই। এ হল এক গুণমুগ্ধের আন্তরিক পুরস্কার। আমি এটি আনন্দিত চিত্তে গ্রহণ করলাম।’
এর কয়েক দশক পরে আমরা দেখতে পাই, বাংলা রঙ্গমঞ্চের একেবারে গোড়ায় ‘নীলদর্পণ’ নাটকের অভিনয়ের সময় দর্শকাসনে বসেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। অর্ধেন্দুশেখর মুস্তাফীর নীলকর সাহেবের চরিত্রে অভিনয় দেখে মঞ্চে তাঁর দিকে পায়ের জুতো ছুঁড়ে মেরেছিলেন। অর্ধেন্দুশেখরও গোবিন্দ অধিকারীর মতো বলেছিলেন, ‘এ আমার পুরস্কার।’
গোবিন্দ অধিকারীকে এমন কিছু আহা মরি দেখতে ছিল না। খুব দীর্ঘ তিনি ছিলেন না। গায়ের রং ছিল শ্যামবর্ণ। মাথার মাঝখানে ছিল টাক। পিছনে কিন্তু ছিল ঢেউ খেলানো বাবরি চুল। কিন্তু গলাটি ছিল সুমধুর। একবার তিনি আসরে গান করছেন, সেদিন দর্শকাসনে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত পাঁচালিকার দাশরথী রায়। আসর শেষে তিনি গোবিন্দের
গানের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন। গোবিন্দ বললেন, ‘আজ গলাটা বিশেষ সুবিধার ছিল না।’ সেকথা শুনে দাশরথী বলেছিলেন, ‘আপনার এই ভাঙা গলার কাছাকাছিও কেউ পৌঁছতে পারবে না।
আর একটি কাহিনী জানা যায়। সেদিন ছিল রথযাত্রার উৎসব। সেদিন রাতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গোবিন্দ অধিকারীর আসর বসবে। বঙ্কিমচন্দ্রের কয়েকজন বন্ধুও এসেছেন তাঁদের বাড়িতে। দুপুরে আলোচনার মধ্যে এক বন্ধু বললেন, ‘দুর দুর, বাংলাদেশের গান আবার শোনা যায় নাকি!’ বঙ্কিমচন্দ্র জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এমন কথা বলছেন কেন?’ সেই বন্ধু বললেন, ‘ভালো গান গাইতে জানেন, বাংলাদেশে এমন কেউ আছেন নাকি?’
বঙ্কিমচন্দ্র সেকথা শুনে বললেন, ‘আপনি কীর্তন শুনেছেন?’ সেই বন্ধুটি বললেন, না, তিনি কীর্তন শোনেননি, তবে ভজন শুনেছেন। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে বললেন, ‘আপনি একটু অপেক্ষা করুন।’ এরপর তিনি একজনকে বললেন, সেখানে যেন গোবিন্দ অধিকারীকে ডেকে আনা হয়। একটু পরে গোবিন্দ সেই মজলিশে এসে উপস্থিত হলেন। বঙ্কিমচন্দ্র তখন তাঁকে একটি গান গাওয়ার অনুরোধ করলেন। গোবিন্দ ভালো করে বসে গান ধরলেন, ‘প্রিয়ে চারুশিলে মুরু ময়ি মানমনিদানম..’ গান এগিয়ে চলে। বঙ্কিমচন্দ্র ভাবতন্ময় হয়ে চোখ বোঁজেন। অন্যরাও গানের দোলায় ভাসতে লাগলেন। আর সেই বন্ধু মুখের ভাব ধীরে ধীরে বদলে যেতে লাগল। অবিশ্বাস থেকে বিশ্বাসে, অশ্রদ্ধা থেকে ভালোলাগায় তিনি একটু একটু করে ডুবে যেতে লাগলেন। তিনি নিজেও বুঝতে পারলেন না, কখন যে তাঁর দু চোখ বেয়ে নেমেছে জলের ধারা। গান শেষ হল। সেই বন্ধু হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে বললেন, ‘আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এখন স্বীকার করতে আমি বাধ্য যে এমন গান আমি কোনওদিন শুনিনি।’ তখন মুচকি হাসছেন বঙ্কিমচন্দ্র।
যাত্রায় গোবিন্দ অধিকারী একটি যুগ। যেমন খ্যাতি তিনি অর্জন করেছিলেন, তেমন পয়সাও রোজগার করেছিলেন। তাই দিয়ে একটি জমিদারিও কিনেছিলেন।
একসময় নিজের জন্মভিটে হুগলি জেলার খানাকুলের কাছে জাঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে চলে এলেন শালিখায়। তাঁর গুরুর বাড়ির কাছাকাছি বাস করতে লাগলেন। সম্ভবত ১৮৭২ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু রেখে গেলেন উত্তরাধিকার। তাঁর শিষ্যদের মধ্যে ছিলেন নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়, ঢ্যামনা গোপাল, শ্রীবাস দাস, ভজরাম ঘোষ, গদাধর দাস প্রমুখ।
যাত্রার পাশাপাশি তখন কলকাতায় জেগে উঠছে নাট্য সংস্কৃতি। ইংরেজ ঘরানায় নাট্যমঞ্চ তৈরি করে অভিনয়ের ঝোঁক দেখা যাচ্ছে। কিন্ত সেখানেও বিভিন্ন নাটকে দেখা গেল
যাত্রার প্রভাব। প্রাথমিক স্তরের মঞ্চ-নাটকের আখ্যানও ঋণী ছিল যাত্রার কাছে।
02nd  March, 2019
প্রতিশোধের বয়লারে ফুটতে থাকা হিংসার আগুন

বর্তমান সমাজব্যবস্থার নিষ্ঠুর আয়নায় ভেসে ওঠা প্রতিচ্ছবি হল এই নাটক। যেখানে দিশাহীন যুবসমাজের মন একটা কিছু খুঁজে বেড়ায়। কিন্তু কী সেটা? বিশদ

30th  March, 2019
শৌভনিকের নতুন নাটক

 শৌভনিক তাদের আশিতম প্রযোজনা ‘দর্পণম’ মঞ্চস্থ করতে চলেছে আগামী ৩১ মার্চ অর্থাৎ রবিবার তাদের নিজস্ব প্রেক্ষাগৃহ মুক্ত অঙ্গন রঙ্গালয়ে। সময় সন্ধে সাড়ে ছ’টা। নাটকের বিষয়বস্তু বেশ অভিনব। ইদানীং অনেক বাঙালিই চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ ভারতের এক বিখ্যাত হাসপাতালে যান। শুধু বাঙালিই নয়।
বিশদ

30th  March, 2019
সত্যি কি খিদে মিটল?

 তারাপদ অ্যান্ড কোং, নাম শুনলেই বোঝা যায় তারাপদর একটা সাম্রাজ্য আছে। হ্যাঁ, সত্যিই আছে। কিন্তু মজার কথা হচ্ছে তারাপদর সাম্রাজ্যের সদস্য সংখ্যা মাত্র এক। তারাপদর অভিন্ন হৃদয়ের বন্ধু বামাপদ। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, কোং মানে কোম্পানিটি কীসের? এটা আদতেও কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়।
বিশদ

30th  March, 2019
কলা বিক্রেতা থেকে এক সময় বিদ্যাসুন্দর পালাগানে শহর মাতিয়ে দেন গোপাল উড়ে

বিদ্যাসুন্দর পালায় গোপাল উড়ের সাজসজ্জা, চলনবলন, অভিনয় আর গমক দেখে দর্শকরা ভেবেছিলেন কোনও মহিলা শিল্পী অভিনয় করছেন। লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস বিশদ

30th  March, 2019
দাদার কীর্তি 

জনপ্রিয় ছায়াছবি মঞ্চায়ন করা শুধু যে চ্যালেঞ্জিং তা নয়, অনেক বেশি ঝুঁকিরও। আর সেই দূরূহ কাজটি দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব নিয়ে পালন করল নৈহাটি ব্রাত্যজন। তাদের সাম্প্রতিক প্রযোজিত নাটক ‘দাদার কীর্তি’র সফল উপস্থাপনায়। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত এই গল্প নিয়ে তরুণ মজুমদার জনপ্রিয়, সফল বাংলা ছবি উপহার দিয়েছিলেন।  
বিশদ

23rd  March, 2019
থিয়েটার যখন নিরাপদে থাকতে চায়
তখন সে নিজের মৃত্যু পরোয়ানা স্বাক্ষর করে 

চন্দন সেন: ২৭ মার্চ, বিশ্বনাট্য দিবস। এবারে আইটিআই বা ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট প্রবর্তিত এই দিনটার বয়স হল ৫৭ বছর। ফ্রান্সে সূচনা, এখন সব সীমানা ভেঙে ছড়িয়ে পড়েছে এই দিনটাকে স্মরণের উৎসব।  
বিশদ

23rd  March, 2019
বিশ্বনাট্য দিবসের বাণী ২০১৯ 

এবারের বিশ্বনাট্য দিবসের বাণী দিয়েছেন ৫৬ বছর বয়সি আধুনিক কিউবান নাট্যকার, নির্দেশক, নাট্যবিদ ও প্রশিক্ষক কার্লোস কেলদ্রোন।

যখন থেকে আমি থিয়েটার নিয়ে জেগে উঠছি তার বহু আগে থেকেই আমাদের নাট্যগুরুরা সক্রিয় ছিলেন। থিয়েটারকে সামনে রেখেই তাঁরা নিজেদের বাসভূমির আর পরমায়ুর বরাদ্দ বাকি দিনগুলোর কর্মভূমির রূপরেখা তৈরি করছিলেন। তাঁদের অনেকেই আজও অচেনা, অনেকের কথাই আর স্মৃতিতে নেই।
বিশদ

23rd  March, 2019
ডিরেকটরস ইউনিটি? অসম্ভব! 

বিশ্ব নাট্যদিবসের প্রাক্কালে বাংলা থিয়েটারের হাল হকিকত বয়ান করলেন অশীতিপর ‘অ্যাঙ্গরি ইয়াং ম্যান’ বিভাস চক্রবর্তী। 
‘নেগেটিভ’ লেখার জন্য থিয়েটার-বাজারে আমার কুখ্যাতি আছে। ‘নেগেটিভ’ মানে নিন্দা বা হতাশামূলক আক্রমণাত্মক বা সমালোচনামূলক। যাঁরা এরকমটা মনে করেন তাঁদের বলি, আপনারা একটু ভুল করছেন—সমালোচনামূলক ঠিকই, কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও লক্ষ করবেন সেগুলির বেশিরভাগই আত্মসমালোচনামূলক।
বিশদ

23rd  March, 2019
ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শোনা যায় 
একনায়কের শেষরাত

আঠারোশো উননব্বই সালের বিশে এপ্রিল অস্ট্রিয়ার ব্রাউনাউ শহরে জন্ম হয় হিটলারের। পুরো নাম অ্যাডল্ফ হিটলার। উনিশশো পঁয়তাল্লিশ সালের তিরিশে এপ্রিল জার্মানির বার্লিন শহরে মাত্র ছাপ্পান্ন বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়।  বিশদ

16th  March, 2019
যাত্রাকথা ৩
প্রবীণা ঝাঁটা উপহার দিলেন গোবিন্দ অধিকারীকে 

নৈহাটির কাঁঠালপাড়ায় যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে প্রতি বছর কয়েকদিনের জন্য যাত্রাগানের আসর বসত। বিশেষ করে রথযাত্রার সময় হতো পালাগান। তিনি ছিলেন তখনকার পালাগানের বিশেষ অনুরাগী। তখন যাত্রাপালায় বদন অধিকারীর খুব সুখ্যাতি।   বিশদ

16th  March, 2019
আমি চপল ভাদুড়ি না চপলরানি!

 তাঁকে নিয়েই তৈরি হয়েছে একটি নাটক। নিজের চরিত্রেই অভিনয় করছেন তিনি। চপল ভাদুড়ির সঙ্গে কথা বললেন সঞ্জীব বসু। বিশদ

02nd  March, 2019
গ্রামজীবনের জ্বলন্ত দলিল
গণদেবতা

 হীনবল, অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের চিরটাকালই পায়ের নীচে রেখে চলতে অভ্যস্ত উচ্চশ্রেণীর প্রতিনিধিরা। সমাজসৃষ্টির আদিকাল থেকে এমনটাই ঘটে চলেছে। কিন্তু কখনও কখনও দলিত, নিপীড়িত এইসব মানুষরাই জেগে ওঠে, আন্দোলন করে, অস্ত্র ধরে শোষকের বিরুদ্ধে। এই মানুষগুলোই সমাজের দেবতা—গণদেবতা।
বিশদ

02nd  March, 2019
স্যিলুয়েট ড্রিমের নাটক শুধু নাটক

 গত ২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শ্রীরামপুর রবীন্দ্রসদনে হয়ে গেল স্যিলুয়েট ড্রিম নাট্য সংস্থার নাট্যোৎসব ‘নাটক শুধু নাটক’। তিনদিনে মোট ন’টি নাটক মঞ্চস্থ হয়। বিশদ

02nd  March, 2019
আলিপুর অহনার নাট্যোৎসব

 গত ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনদিনব্যাপী এক নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছিল আলিপুর অহনা নাট্যদল। হাজির ছিলেন নাট্যকার অরূপশঙ্কর মৈত্র, সমালোচক রঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায় অভিনেত্রী ছন্দা চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
বিশদ

02nd  March, 2019

Pages: 12345

একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ছেলের হাতে খুন হলেন মা। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুর থানার করুণাময়ীতে। মৃতার নাম অপু সরকার (৪৪)। ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরে গুণধর ছেলে নিজেই এসে থানায় আত্মসমর্পণ করে। পুলিস জানিয়েছে, ওই ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে চরম বার্তা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার দলীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দিলীপের হুঁশিয়ারি, ২৩ মে ভোটের ফল বেরনোর পর শাসকদলের দুষ্কৃতীরা হিংসা ছড়ালে তার ভয়ঙ্কর পরিণামের জন্য তৈরি ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এ রাজ্যে ছোট ও মাঝারি শিল্পের বহর বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। আমেরিকার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের শিল্প ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে যাতে ছোট শিল্পকে আরও বেশি করে ব্যবহার করা যায়, সেই চেষ্টা করবে ওয়াশিংটন ডিসি’র ইন্ডিয়ান আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ...

 সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম: ইস্ট ইন্ডিয়ানিনজা স্পোর্টস মিটে অংশ নিয়ে অন্যান্য রাজ্যগুলির খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রতিযোগিতার আসরে নেমে আলিপুরদুয়ার জেলার১৬ জন প্রতিযোগী সোনার পদক, ১০জন প্রতিযোগী রুপার পদক এবং ৪জন প্রতিযোগী ব্রোঞ্জ পদক জিতে নিয়েছে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩৫: কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর জন্ম
১৯২১: নোবেলজয়ী সোভিয়েত বিজ্ঞানী আন্দ্রে শাখারভের জন্ম
১৯৯১: ভারতের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৫ টাকা ৭০.৩৪ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৮৮ টাকা ৯০.১১ টাকা
ইউরো ৭৬.০৬ টাকা ৭৮.৯৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,০৬৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৪২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০,৮৭৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৬,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৬,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ২১ মে ২০১৯, মঙ্গলবার, তৃতীয়া ৫১/৪৭ রাত্রি ১/৪১। মূলা ৫৬/২৩ রাত্রি ৩/৩১। সূ উ ৪/৫৮/১২, অ ৬/৮/০, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১১/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে ৪/২২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৫ মধ্যে, বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/৫০ মধ্যে।
৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ২১ মে ২০১৯, মঙ্গলবার, তৃতীয়া ৫২/৪৪/৩৭ রাত্রি ২/৩/৪০। মূলানক্ষত্র ৫৮/১১/৫৫ শেষরাত্রি ৪/১৪/৩৫, সূ উ ৪/৫৭/৪৯, অ ৬/১০/৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১২/২ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৪/৩০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫৮ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ২/৪ মধ্যে, বারবেলা ৬/৩৬/৫১ গতে ৮/১৫/৫৩ মধ্যে, কালবেলা ১/১২/৫৯ গতে ২/৫২/১ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৩১/৩ গতে ৮/৫২/১ মধ্যে।
১৫ রমজান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল

মেষ: গোপন প্রেম থাকলে তা প্রকাশিত হবে। বৃষ: যদি ব্যবসা করার ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৩৫: কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর জন্ম১৯২১: নোবেলজয়ী সোভিয়েত বিজ্ঞানী আন্দ্রে শাখারভের ...বিশদ

07:03:20 PM

মাধ্যমিকের প্রথম সৌগতকে সাহায্যের আশ্বাস পার্থর
আজ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার পর প্রথম স্থানাধিকারী সৌগত দাসকে ফোন ...বিশদ

04:54:19 PM

১২৮১০ হাওড়া-মুম্বই (সিএসএমটি) মেল আজ রাত ৮টার বদলে রাত ৯:১৫ মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়বে 

03:53:16 PM

মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হওয়ায় পূঃ বর্ধমানের গোপালপুরে আত্মঘাতী ছাত্রী  

03:34:10 PM

খড়্গপুরের আইটিআইয়ের কাছে যুবককে গুলি করে খুন

03:31:00 PM