উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
বোর্ডের নির্দেশিকা সামনে আসার পর প্রশ্ন উঠছে, অরুণ লাল কি তাহলে বাংলার কোচ থাকতে পারবেন না? কারণ তাঁর বয়স ৬৫। করোনা নির্দেশিকা অনুযায়ী, বাংলা দলের প্রস্তুতি শিবিরে বা অনুশীলনে ঢুকতে পারবেন না লালজি। সেক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। তবে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে কোথাও বলা হয়নি, ষাট বছর পেরিয়ে গেলে কোচের পদ ছেড়ে দিতে হবে।
বিসিসিআইয়ের নির্দেশ শুনে মুচকি হেসে ফোনে অরুণ লাল বললেন, ‘পুরো নির্দেশিকা পড়লে তবেই ব্যাপারটা স্পষ্ট হবে। সব কিছু শুনে মনে হচ্ছে, বিসিসিআই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। এটা ভালো। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আমাদের সবার কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চলা দরকার। তবে ৬০ পেরিয়ে গেলে দলের সঙ্গে প্র্যাকটিসে থাকা যাবে না, এটা সঠিক পদক্ষেপ নয়। আমার বয়স ষাটের বেশি। তার মানে আমি আনফিট। কিন্তু যাঁর বয়স ৫৯ বছর ৩৬৪দিন, তাকে ফিট বলা হচ্ছে। এটা বোর্ডের ভেবে দেখা উচিত। করোনা যে কারও হতে পারে। তবে যাঁদের বয়স বেশি, তাঁদের অধিক সাবধানতা অবলম্বনের প্রয়োজন রয়েছে। আমার মনে হয়, সেই কারণেই বিসিসিআই ষাট বছর বয়সের সীমা বেঁধে দিয়েছে। গাইডলাইন হাতে আসার পর সিএবি সচিব আমাকে ফোন করেছিলেন। বাংলার কোচ হিসেবে আমাকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন তিনি। এই নিয়ম কত দিন লাগু থাকবে, সেটা স্পষ্ট নয়। আসলে আমরা কেউই জানি না, ঘরোয়া ক্রিকেট ফের কবে শুরু হবে? তাড়াহুড়োর কিছু নেই। হাতে অনেক সময় রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে করোনার এই নির্দেশিকা অনেকটাই শিথিল হবে বলে আমার বিশ্বাস। তখন মনে হয় না বাংলা দলকে কোচিং করাতে কোনও সমস্যা হবে। আমার বয়স দেখে যাঁরা ভাবছেন যে আমি আনফিট, তাঁদের জানিয়ে দিতে চাই- কিছু বোর্ড কর্তার থেকে আমি অনেক বেশি ফিট। প্রত্যেক দিন তিন-চার ঘণ্টা শরীরচর্চা করি। অনুশীলনের পর ইডেন থেকে হেঁটে বাড়ি যাই। সবচেয়ে ভালো হয়, ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোচেদেরও ফিটনেস টেস্ট নেওয়া হোক।’
অরুণ লালই যে আপাতত বাংলার কোচ থাকছেন সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া। তিনি বলেন, ‘বোর্ডের নির্দেশিকা আমরা মেন চলব। অরুণ লালই বাংলার কোচ থাকবেন। ওঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আগামী দিনে সরকারি নির্দেশিকার ভিত্তিতে বোর্ডের এসওপি সংশোধিত হবে। পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রাখব। বিভিন্ন দলের কোচিং স্টাফরা লকডাউনের সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেটা আগামী দিনেও জারি থাকবে।’
অরুণ লালের প্রশিক্ষণেই গতবার রনজি ফাইনালে খেলেছিল বাংলা। ক্রিকেটারদের মানসিকতা বদলে দিয়েছিলেন লালজি। সেই কারণেই তাঁকে কোচ রেখে দিয়েছে সিএবি। বাংলার ক্রিকেটার অনুষ্টুপ মজুমদার বললেন, ‘লালজিকে ছাড়া বাংলা দল ভাবাই যায় না। ক্রিকেটারদের মধ্যে লড়াকু মানসিকতা উনিই আমদানি করেছিলেন। কত সমস্যা ছিল। সেগুলি ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠে আমরা ফাইনালে খেলেছিলাম। লালজির অবদান ভোলার নয়। উনি যদি কোচ না থাকেন তাহলে বাংলা দলের পক্ষে তা হবে বিশাল বড় এক ক্ষতি।’