উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
প্রায় আড়াই দশক আগের সেই ইনিংসের স্মৃতিচারণা করলেন আজহার মাহমুদ। তিনি জানান, ‘১৯৯৬ সালে নাইরোবিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল শাহিদের। এই টুর্নামেন্টে খেলারই কথা ছিল না ওর। কিন্তু মুশি হঠাৎ চোট পাওয়ায় শাহিদকে দলে নেওয়া হয়। তবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ও খেলার সুযোগ পায়নি। সেদিনও ব্যাটিং অর্ডারের ৬ নম্বরে রাখা হয়েছিল ওকে। কিন্তু কাঁধে বিরাট রানের টার্গেট চেপে যাওয়ায় শাহিদকে উপরের দিকে তুলে আনে টিম ম্যানেজমেন্ট। ওপেনার সেলিম ইলাহি ৬০ রানের মাথায় আউট হয়ে যাওয়ার পরই মাঠে নামে আফ্রিদি। ২২ গজে পৌঁছেই রীতিমতো তাণ্ডব শুরু করেছিল সে। ৩৭ বলে শতরান করার পথে মেরেছিল ৬টা বাউন্ডারি ও ১১টা ছক্কা। বোলার থেকে ব্যাটসম্যান হয়ে ওঠার পথে সেদিনের ব্যাটটা ওর কাছে যেন জাদুদণ্ড হয়ে উঠেছিল। ওর নেপথ্যেও একটা গল্প রয়েছে। তিন নম্বরে নামার আগে ওয়াকার ইউনিসের কাছে ব্যাট চান শাহিদ। আমরা সবাই জানি, ওয়াকারকে ব্যাটটা উপহার দিয়েছিল শচীন তেন্ডুলকর। আর সেই ব্যাট নিয়েই মাঠে নেমেছিল শাহিদ। আর মাঠ ছেড়েছিল ব্যাটের প্রথম মালিকের সুনামের প্রতি সুবিচার করে।’
উল্লেখ্য, আফ্রিদির ৩৭ বলে সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড ২০১৫ সালে ভেঙে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি’ভিলিয়ার্স। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৩১ বলে শতরানের নয়া ইতিহাস রচনা করেন তিনি। তাই বলে ক্রিকেটপ্রেমীদের মন থেকে একেবারে মুছে যায়নি পাক তারকার বিধ্বংসী ঝড়ের স্মৃতি।