কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
ইস্ট বেঙ্গল – ৪ (কোলাডো, কাসিম, ব্র্যান্ডন, মার্কোস-পেনাল্টি)
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আই লিগ টেবলে ছয় থেকে চার নম্বরে উঠে এল ইস্ট বেঙ্গল। রবিবার ইম্ফলের মাঠে ট্রাউ এফসি’কে ৪-২ গোলে হারিয়ে লিগে টানা দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচ জয় পেল মারিও রিভেরার দল। এক গোলে পিছিয়ে থেকেও চার গোল দিয়ে এই মূল্যবান জয় লাল-হলুদ শিবিরে স্বস্তি বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট। এই দলের চ্যাম্পিয়ন বা অবনমনও হবে না। কিন্তু লাল-হলুদ কোচ মারিও রিভেরার লক্ষ্য, লিগ টেবলে যতটা সম্মানজনক জায়গায় শেষ করা যায়। ১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট ইস্ট বেঙ্গলের। ১৪ ম্যাচে ১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ট্রাউ।
ম্যাচের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি ইস্ট বেঙ্গলের। আপফ্রন্টে জোড়া অ্যাটাকার ক্রোমা ও মার্কোসকে রেখে দল সাজিয়ে ছিলেন কোচ রিভেরা। কিন্তু তাঁদের ব্যবহার করার মতো যোগ্য বল প্লেয়ার এই ইস্ট বেঙ্গলের মাঝমাঠে নেই। কোলাডো একা চেষ্টা চালালেও তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউ ছিলেন না। লালরিনডিকা রালতে এদিনও ছিলেন বেশ অফ ফর্মে। তবে ক্রোমার বদলে নতুন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ভিক্টর পেরেজ আলোন্সো নামতেই বিরতির পর ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় ইস্ট বেঙ্গল। গোলের বল বাড়াতে জানেন। সেটপিসেও দক্ষ বেঙ্গালুরু এফসি’তে খেলে আসা ভিক্টর। ইস্ট বেঙ্গলের চারটি গোলের মধ্যে তিনটির ক্ষেত্রে ভিক্টরের অবদান রয়েছে।
১৮ মিনিটে ইস্ট বেঙ্গল গোলরক্ষক রালতের ভুলে ট্রাউ এগিয়ে যায়। ডানদিক থেকে দীনেশ সিংয়ের সেন্টার লক্ষ্য করে এগিয়ে এসে আউটিংয়ে ভুল করেন রালতে। শূন্যের বলে রালতের হাত টপকে হেডে গোল করেন প্রিন্সওয়েল এমেকা (১-০)। সেই গোলের পর অ্যাটাকিং থার্ডে উইং দিয়ে সাপোর্টিং প্লে’কে সঙ্গী করে বেশ কয়েকটি আক্রমণ তুলে আনে ট্রাউ। ২ মিনিটে কাসিম বাঁ-পায়ের ওপেন সিটার ট্রাউ গোলরক্ষক সায়ন রায়ের হাতে মারেন। ৬ মিনিটে ওভারল্যাপে এসে ট্রাউয়ের জোসেফের ক্রস জোয়েল সানডে পুশ করলে রালতে প্রতিহত করেন। ১০ মিনিটে কোলাডোর শট দারুণ সেভ করেন সায়ন। ২৪ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠে বাইরে চলে যান ইস্ট বেঙ্গলের লালরিনডিকা রালতে। গোলটা হজম করার পরই ইস্ট বেঙ্গলের খেলা কিছুটা ঝিমিয়ে যায়।
বিরতির পর নামেন ভিক্টর। ৫২ মিনিটে তাঁর পাস থেকে হুয়ান মেরার থ্রু ধরে বক্সে মার্কোস পাস করলে কোলাডোর ডান পায়ের শট ট্রাউ ডিফেন্ডার দীপক দেবরানির পায়ে লেগে বল দিক বদলে জালে জড়িয়ে যায় (১-১)। ৬৬ মিনিটে ভিক্টরের ফ্রিকিক থেকে মার্কোসের ড্রপ হেড ফলো করে কাসিম আইদারা হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন (২-১)। তিন মিনিট পরেই মার্কোসের থ্রু থেকে ব্র্যান্ডনের প্লেসিং গোলরক্ষকের বাঁ-দিক দিয়ে জালে জড়িয়ে যায় (৩-১)। গোলের পরই জার্সি খুলে ফেলায় হলুদ কার্ড দেখেন ব্র্যান্ডন। ৭৬ মিনিটে ভিক্টরের কর্নার থেকে কাসিমের ভলি ট্রাউ ডিফেন্ডারের হাত লাগে। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে মার্কোস ৪-১ করেন। চার গোল করলেও যখনই ট্রাউ আক্রমণ করেছে ইস্ট বেঙ্গলের রক্ষণ কেঁপেছে। লেফটব্যাক আভাস থাপার পাশ দিয়ে একাধিক আক্রমণ করেছে ট্রাউয়ের অ্যাটাকাররা। স্বদেশি ডিফেন্স লাইন লাল-হলুদের এখন বড় চিন্তার কারণ। ৮৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান ট্রাউয়ের ওগুচি উচে (৪-২)।
এদিকে, জনি অ্যাকোস্টার আইআরটিসি এসে গিয়েছে। তবে এখন তিনি ভিসা পাননি। শনিবার চার্চিল ম্যাচে এই কোস্টারিকান বিশ্বকাপার ঘোরতর অনিশ্চিত।
ইস্ট বেঙ্গল - রালতে, সামাদ, মেহতাব, আসির, আভাস, কাসিম, লালরিনডিকা রালতে (ব্র্যান্ডন), হুয়ান মেরা, কোলাডো, ক্রোমা (ভিক্টর), মার্কোস (বিদ্যাসাগর)।