উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
টানা ক্রিকেটের ধকল কাটাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলেননি বিরাট কোহলি। স্ত্রী অনুষ্কার সঙ্গে ভুটানে চলে গিয়েছিলেন ছুটি কাটাতে। নিজের ৩১তম জন্মদিনও সেখানেই পালন করেন ভারত অধিনায়ক। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের আগে চনমনে মেজাজেই দলের সঙ্গে যোগ দিলেন কোহলি। টি-২০ সিরিজে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলেছেন রহিত শর্মা। তবে টেস্ট সিরিজে বিরাটের হাতেই থাকবে নেতৃত্বের ব্যাটন। এদিন অনুশীলনের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে কোহলি জানালেন, ‘আমি আগে কখনও গোলাপি বলে খেলিনি। তাই আমাকে নতুন অভিজ্ঞতার শরিক হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আমি সাগ্রহে খেলতে রাজি হয়েছি। গোলাপি বলে খেলার জন্য আমরা মানসিক প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছি। দলের প্রত্যেকেই দারুণ উদগ্রীব হয়ে রয়েছে নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ পাওয়ার জন্য।’
কোহলি আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা লাল বলে টেস্ট ম্যাচ খেলতে অভ্যস্ত। তাই গোলাপি বলে খেলার সময় বাড়তি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। রিফ্লেক্সে আরও সাবলীল হতে হবে। তাই এদিন লাল বলে অনুশীলন পর্ব শেষ হওয়ার পর কিছুক্ষণ গোলাপি বলেও প্র্যাকটিস করলাম। একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি, লাল বলের তুলনায় গোলাপি বলে স্যুইং বেশি হয়। কারণ, বল তৈরির করার সময় থকথকে বস্তু ব্যবহার করা হয়। এই বস্তু সহজে নষ্ট হয় না। আমার ধারণা, গোলাপি বলে ব্যাটসম্যানদের তুলনায় বোলাররা বেশি সুবিধা পাবে। যদি পিচে বোলারদের জন্য পর্যাপ্ত রসদ থাকে, তাহলে বোলারা দাপট দেখাবে। বিশেষ করে পেসাররা। পাশাপাশি রাতের দিকে শিশির পড়লে পুরানো গোলাপি বল কী রকম আচরণ করে তা দেখার জন্য আগ্রহ রয়েছে।’
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চালু হওয়া পর ভারত এখনও পর্যন্ত অপরাজিত রয়েছে। পাঁচটি ম্যাচ খেলে পাঁচটিতেই জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। এর জন্য সতীর্থদের কৃতিত্ব দিচ্ছেন কোহলি। তাঁর কথায়, ‘সংঘবদ্ধ টিম হিসেবে আমরা মাঠে নামি। এটাই দলের সবথেকে বড়় শক্তি। প্রত্যেকেই নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আশা করি, বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সিরিজেও আমরা সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারব।’ আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থেকে ইন্দোর টেস্টে খেলতে নামলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ ভারত অধিনায়ক। বাংলাদেশ নবম স্থানে থাকলেও কোহলি হাল্কাভাবে নিচ্ছেন না মমিনুল হকদের। সতর্কতার সুরে তিনি বলছেন, ‘বাংলাদেশের কোনও ব্যাটসম্যান কিংবা বোলারকে সহজভাবে নেওয়া ঠিক হবে না। ওরা যদি সেরা খেলা খেলতে পারে, তাহলে যে কোনও প্রতিপক্ষকেই ভোগানোর ক্ষমতা রাখে।’
সেই সঙ্গে টাইগার বাহিনীর বাঁ হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহিমের প্রশংসা করে কোহলি বলেন, ‘ও খুব ভালো একজন বোলার। আমরা সাধারণত যে সব বাঁ হাতি পেসারের বিরুদ্ধে খেলে থাকি, তাদের থেকে ও একটু আলাদা ধরনের। আইপিএলে খেলার সুবাদে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সম্পর্কে ওর ধারণা রয়েছে। তাছাড়া আমরা নিয়মিত বাঁ হাতি পেস বোলারদের খেলি না। তাই মুস্তাফিজুর সম্পর্কে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। ওর বিপক্ষে ব্যাটিং করার সময় মনঃসংযোগও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।’