কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
বৈঠক শেষে চেয়ারম্যান বলেন, ন’বছর হয়েছে কমিটি গঠনের। এই প্রথম বৈঠক হল। এই বিমানবন্দরের গুরুত্ব সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকগুণ বেড়েছে। তাই নতুন টার্মিনাল বানানো দরকার। এজন্য ১০৫ একর জমির প্রয়োজন। কিন্তু ওই জমি এখনও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে রাজ্য হস্তান্তর করেনি। ওই জমি পেলে কাজ শুরু করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন টার্মিনাল তৈরি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। নতুন টার্মিনালের জন্য প্রায় ১০৫ একর জমির প্রয়োজন। এরমধ্যে সাড়ে তিন একর জমি রাজ্য সরকারের হাতে রয়েছে। ওই জমিই হস্তান্তর হয়নি। ৯৪ একর জমি চা বাগানের। ওই জমি নিয়ে মামলা চলায় দেরি হচ্ছে। আশা করি, ওই সমস্যা শীঘ্রই মিটে যাবে। এছাড়াও ৫.৯ একর জমি সেনাবাহিনীর। যা নিয়ে আমরা কথা বলছি। প্রায় এক একর জমি জেলাশাসকের অধীনে রয়েছে। ওই জমি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। রাজ্যের হাতে থাকা জমি হস্তান্তরের জন্য রাজ্য সরকারকে বারংবার আমি জানিয়ে এসেছি। এতে কোনও রাজনৈতিক স্বার্থ নেই। নতুন টার্মিনাল তৈরি হলে বিমানযাত্রীরাই উপকৃত হবেন।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর বলেন, খুব সম্ভবত মার্চ মাসেই জমি হস্তান্তর হয়ে যাবে। আমরা রাজ্য সরকারের সহযোগিতা পেয়েছি।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে যে টার্মিনাল রয়েছে সেটিতে ৪৫০ জন যাত্রীকে সহজেই পরিষেবা দেওয়া যায়। কিন্তু বর্তমানে এর কয়েকগুণ বেশি যাত্রী এখানে আসেন। নতুন টার্মিনাল হলে তাতে ৩৮০০ যাত্রীকে পরিষেবা দেওয়া যাবে। এখন এই বিমানবন্দরে ছ’টি ডোমেস্টিক এয়ারলাইন্স ও একটি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স আসে। মোট ৩৬টি ডোমেস্টিক ফ্লাইট ও একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এখান থেকে চলে। বিমানবন্দর একাধিক সমস্যায় জর্জরিত। পর্যাপ্ত সংখ্যক সিকিউরিটি চেক পয়েন্ট এখানে না থাকায় যাত্রীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তিনটি সিকিউরিটি কাউন্টার দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে। নতুন টার্মিনাল হলে প্রায় ১৯টি চেকিং কাউন্টার রাখা হবে। এছাড়াও কার পার্কিং নিয়েও এখানে সমস্যা রয়েছে। পার্কিংয়ে শেড নেই। যাত্রী ধরতে গাড়ি চালকরা সরাসরি টার্মিনালে চলে আসেন। এতে টার্মিনাল চত্বরে ভিড় হয়ে যায়। যদিও চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, পার্কিংয়ের শেড করার জন্য টেন্ডার হয়েছে। শীঘ্রই পার্কিং জোনে শেড লাগবে। নতুন টার্মিনাল হলে প্রায় ১০টি এয়ার ব্রিজের সুবিধা যাত্রীরা পাবেন।
প্রসঙ্গত, উপদেষ্টা কমিটিতে ১২ জন সদস্য রয়েছেন। এরমধ্যে সাতজন সরকারি আধিকারিক এবং পাঁচজন মনোনীত সদস্য।