কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
চলতি মাসের ১৪ তারিখে তুলসীপাড়া চা বাগানের ৩ নম্বর সেকশনেই বনদপ্তরের বসানো খাঁচায় ধরা পড়ে একটি শাবক চিতাবাঘ। তখনই বনদপ্তর বুঝতে পারে বাগানে স্ত্রী চিতাবাঘ এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু ছাগলের টোপ দেওয়া খাঁচায় সেটি কোনভাবেই ধরা পড়ছে না। তাই বনদপ্তর চিতাবাঘ ধরার কৌশল পাল্টে ছাগলের বদলে খাঁচায় চিতাবাঘ শাবকের টোপ দেওয়া শুরু করে। আর তাতেই সোমবার সাফল্য পেল বনদপ্তর। খাঁচায় টোপ দেওয়া শাবককে নিজের শাবক ভেবে সোমবার খাঁচায় ধরা পড়ল স্ত্রী চিতাবাঘটি।
বনদপ্তরের লঙ্কাপাড়ার রেঞ্জার অরূপ ঘোষ বলেন, আমরা খাঁচায় একাধিকবার ছাগলের টোপ দিয়েছি কিন্তু চতুর চিতাবাঘটি কিছুতেই তাতে বন্দি হচ্ছিল না। চিতাবাঘের শাবকের আদলে পুতুল দিয়ে টোপ দেওয়ায় তা কাজে লেগেছে। সোমবার খাঁচায় বন্দি হয়ে যায় স্ত্রী চিতাবাঘটি। সেটি সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। আমরা ওই বাঘটিকে দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে রেখেছি।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর মাসে মাদারিহাটের গ্যারগেন্দা চা বাগানের বাসিন্দা গীতা প্রজা নামে এক যুবতীকে দিনের বেলায় চিতাবাঘ খুবল খেয়েছিল। তার আগে মাদারিহাটের গ্যারগেন্দা, ধুমচিপাড়া ও রামঝোরা চা বাগানে পাঁচ শিশু ও কিশোর খুবলে খেয়ে নিয়েছিল চিতাবাঘ। তারপর থেকেই বনদপ্তর চিতাবাঘ ধরতে বাগানগুলিতে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা বসায়। কিন্তু সাফাল্য মিলছিল না। পরবর্তীতে ছাগলের পাশাপাশি খাঁচায় কথা বলা পুতুলেরও টোপ দেয় বনদপ্তর। এমনকি খাঁচার বাইরে ছাগল রেখে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সরাসরি খাঁচার ভেতরে বন্দুক হাতে নিয়ে ঢুকে পড়েন বনকর্মীরা। সবশেষে এবার চিতাবাঘ ধরতে খাঁচায় চিতাবাঘের শাবকের পুতুলও ব্যবহার শুরু করে বনদপ্তর। আর এতেই মিলল সাফল্য। সোমবার ধরা পড়া চিতাবাঘটিকে নিয়ে বনদপ্তরের দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিতাবাঘের সংখ্যা হল ২০।