কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
বর্তমানে বিমলবাবুর কারখানায় মজুত করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের পাউডার, রঙ, সুগন্ধি উপকরণ। সেসব দিয়ে নানা ধরনের আবির তৈরির করার কাজ জোরকদমে এগিয়ে চলছে। বেশ কয়েকজন শ্রমিকেও এই কাজে লাগানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই মৃৎশিল্পীর কারখানায় এবছর ১৫ কুইন্টালেরও বেশি আবির তৈরি করা হবে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই দোলের আগে কাজ শেষ করে দেওয়া হবে। পুরাতন মালদহের মধ্যে একমাত্র বিমলবাবুই আবির তৈরি করেন। তাই জেলা সদরের বহু ব্যবসায়ীও পাইকারি দরে তাঁর কাছ থেকে আবির নিয়ে যান। সেইসঙ্গে আশেপাশের গ্রামবাসীরাও এখানে ভিড় করেন।
গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, দোলের সময় আবির নিয়ে মাথা ঘামাতে একেবারেই হয় না। মৃৎশিল্পী বিমলবাবুর কারখানাতেই আবির পাওয়া যায়। এজন্য আমাদের আর দূরের বাজারেও যেতে হয় না। শুধু আমরাই নই, দূর থেকেও অনেক মানুষ এখানে আবির কিনতে ভিড় করেন।
ওই আবির তৈরির কারখানার কাজ করা শ্রমিক রাজ শেখ, বালা রায়রা বলেন, আমরা এখানে সারা বছরই কাজ করি। বছরের অন্য সময়ে প্রতিমা বানানোর কাজে সহযোগিতা করি। দুর্গাপুজো বা কালীপুজোর সময়ে আমাদের একরকম ব্যস্ততা থাকে আর এই সময়ে অন্যরকম ব্যস্ততা। শিবরাত্রি উপলক্ষে শিব প্রতিমা বানিয়েছি। সেই শিব প্রতিমা গড়ার কাজ শেষ হতেই এই আবির বানানোর কাজে লেগে পড়েছে। প্রতিবছরই আমরা তাই করি। এই কাজ করে আমাদের বাড়তি আয় হয়। ভালোই লাগে।
সাহাপুরের মৃৎশিল্পী বিমল পাল বলেন, আমি একজন মৃৎশিল্পী। মাটির প্রতিমা গড়াই আমার প্রধান কর্ম। এটাই আমার শিল্প। এখন মহাদবের মূর্তি গড়ার কাজ সবে শেষ হল। আর সামনে প্রতিমা গড়ার কাজ তেমন নেই। এই মরসুমে বসেই থাকি। তাই আমি এখন বিভিন্ন ধরনের আবির বানানোর কাজে হাত লাগিয়েছি। ২৫ বছর ধরে এই ব্যবসা করছি। এবার ১৫ কুইন্টালের বেশি আবির তৈরি করব। আমার মৃৎশিল্পের কারখানার কিছু শ্রমিক কাজ করে। তাদেরও এই কাজে লাগিয়ে ব্যবসা খুব ভালো হচ্ছে। সকলের সুবিধা হয়। ব্লকের আর কোথাও এই ভাবে আবির তৈরি হয় না। আমার এখানে তৈরি আবির জেলার বিভিন্ন জায়গার বড় বড় বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা নিয়ে যান।