সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
শিলিগুড়ি পুরসভা প্রতিমাসেই বোর্ড মিটিং হয়। এদিন মিটিং শুরু আগে পুরসভার করিডরে ‘নো এনআরসি, নো সিসিএ, নো এনপিআর’ স্লোগান তুলে তৃণমূল কাউন্সিলাররা মিছিল করেন। বুকে ফ্লেক্স ঝুলিয়ে, মাথায় নো এনআরসি, নো সিএএ, নো এনপিআর ক্যাপ পরে তাঁরা মিটিং রুমে এসে বসেন। তবে একমাত্র ব্যতিক্রমী ছিলেন সভায় উপস্থিত ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার খুশবু মিত্তাল। তিনি সিএএ, এনআরসি, এপিআরের সমর্থন জানিয়ে রিবন পরে বসেন। কাউন্সিলাররা তাঁদের ওয়ার্ডের সমস্যা নিয়ে আলোচনার করেন। মেয়র সহ মেয়র পরিষদ সদস্যরা প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেন। মিটিংয়ের মাঝে মেয়র এনপিআর নিয়ে রেজুলিউশন পেশ করেন। তিনি বলেন, আমরা শহরে এনপিআর করব না। এনিয়ে আলোচনা শুরুর আর্জি রাখতেই তৃণমূল কাউন্সিলাররা দাঁড়িয়ে উঠে সহমত পোষণ করেন। আলোচনা শুরু হতেই কেন্দ্র সরকারের তীব্র বিরোধিতা করেন বাম-তৃণমূল কাউন্সিলাররা। মেয়র বলেন, দেশবাসীর ভোটার কার্ড, আধার কার্ড রয়েছে। এখন নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য নতুন করে কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এটা হতে পারে না। শিক্ষা বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য সিপিএমের শঙ্কর ঘোষ বলেন, এনপিআর নয়, এনবিআর (ন্যাশনাল বেরোজগার রেজিস্টার) সরকারের করা উচিত। মানুষকে প্রতি পদে এই সরকার বিপাকে ফেলছে। সবটাকেই সমর্থন জানান বিরোধী বেঞ্চের কাউন্সিলাররা। তবে সিএএ, এনআরসি, এনপিআর নিয়ে বিরোধী পক্ষ সাধারণ মানুষে বিভ্রান্ত করেছে বলে বিজেপি কাউন্সিলার খুশবু মিত্তাল সরব হন। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রকল্প রাজ্য সরকার, পুরসভা গ্রহণ করছে। কিন্তু এই ইস্যুতে কেন তারা বিরোধিতা করবেন। আর এখনও গোটা দেশে এনআরসি, সিএএ লাগু হয়নি। তবে কেন এসব নিয়ে পুরসভায় আলোচনা হবে। নাগরিকরা বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা থেকে দিনের পর দিন বঞ্চিত হচ্ছেন। নাগরিক পরিষেবা উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রেজুলিউশন হতেই পারে। এসব নিয়ে মানুষকে অযথা বিভ্রান্ত না করে সমস্যা নিয়ে আলোচনা হোক। কিন্তু বাম ও তৃণমূল কাউন্সিলাররা একযোগে বিজেপি কাউন্সিলারকে নানান প্রশ্নেবানে বিঁধলে খুশবুদেবী সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। এরপর বামেরা এনিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনা করে।
পরে বিরোধ দলনেতা তৃণমূলের রঞ্জন সরকার, কাউন্সিলার নান্টু পাল, রঞ্জন শীলশর্মা সহ তৃণমূলী কাউন্সিলাররা বলেন, আমাদের ওয়ার্ডকে বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে। শুধুমাত্র সিপিএমের ওয়ার্ডেই বেছে বেছে মেয়র কাজ দিচ্ছেন। এভাবে একতরফা কাজ করে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে। চেয়ারম্যান দিলীপ সিং মেয়রকে জবাবি ভাষণ দিতে বললেও তৃণমূল কাউন্সিলাররা মেয়রের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ তুলে সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। মেয়র পরে বলেন, আসলে ওঁদের মুখোমুখি হওয়ার সাহস নেই। আমার সবটাই তথ্য দিয়ে পুস্তিকা আকারে সামনে আনব। রাজ্য সরকারই আমাদের দিনের পর দিন বঞ্চনা করছে। রাস্তার জন্য ২২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ৫০ শতাংশ টাকা বিরোধীদের ওয়ার্ডের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এরপরেও এসব অভিযোগ ঠিক নয়।