সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
রবিবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সফরে এসে বিশ্বনাথ চৌধুরীর বাড়িতে যান দিলীপবাবু। ঘরের দরজা বন্ধ করে নিরাপত্তারক্ষীদের বাইরে পাহারায় রেখে রেখে বিশ্বনাথবাবুর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন দিলীপবাবু। যদিও এই বৈঠক নিয়ে দিলীপ ও বিশ্বনাথবাবু, কেউই প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। তাঁদের দাবি, রবিবাসরীয় ওই বৈঠক ছিল শুধুমাত্র সৌজন্য সাক্ষাৎ। পুরভোটের আগে যদিও বিশ্বনাথবাবুর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের এই বৈঠক ভালো চোখে দেখছে না আরএসপি নেতৃত্বের একাংশ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, বিশ্বনাথবাবুর শরীর কেমন রয়েছে তার খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম। আমাদের দু’জনের দল অন্য। তবে তিনি রাজনীতিতে অনেক পুরনো ও সাংগঠনিক ব্যক্তি। রাজনীতি নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনও কথা হয়নি। আগামীতে বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর, দুই শহরে পুরভোট রয়েছে। তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী যাতে কোনওভাবে ছাপ্পা ভোট করতে না পারে সেই দিক নজর দিতে আমরা একটি কমিটি গঠন করতে বলেছি। পাশাপাশি শহরে যেসব বুথ কমিটি দুর্বল রয়েছে সেই গুলি যাতে দ্রুত সক্রিয় হয়ে ভোটের প্রচারে নামে, তার নির্দেশ দিয়েছি।
বালুরঘাট বিধানসভার বিধায়ক আরএসপির বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, আমাদের মধ্যে পুরভোট নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। আমার শরীর কেমন আছে সেই খোঁজ তিনি নিয়েছেন। আমাদের দলের সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা একাই পুরভোটে লড়াই করব।
তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দেবাশিস মজুমদার বলেন, রাম আর বাম এরা এখন দাদা-ভাই। এরা মানুষের সামনে অভিনয় করলেও ভেতরে দুই জনে একই। মানুষ এদের চক্রান্ত বুঝে গিয়েছে। বালুরঘাট পুরবোর্ড আমাদের ছিল। আমাদেরই থাকবে।
বিজেপির টাউন সভাপতি সুমন বর্মন বলেন, আগামী পুরভোট লক্ষ্য করে আমরা লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছি। রাজ্য সভাপতি যা যা নির্দেশ দিয়েছেন সেই নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি।
জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের এসে দিলীপবাবু সিএএ ও এনআরসির সমর্থনে প্রচারে শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ও আইনজীবিদের বাড়ি যান। শহরের বিশিষ্ট আইনজীবি শেখর দাশগুপ্ত, বিদুৎ রায়, চিকিৎসক রামেন্দু ঘোষ, দেব্রবত মজুমদার, নাট্যব্যক্তিত্ব হরিমাধব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন দিলীপ ঘোষ। তবে তার পাশাপাশি তিনি যে বিশ্বনাথবাবুর বাড়িও যাবেন তা কেউ ভাবতে পারেনি। দিলীপ ঘোষ ও বিশ্বনাথবাবুর মধ্যে দীর্ঘক্ষণের বৈঠক একদিকে যেমন শাসক দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছে, তেমনি আরএসপি’র মধ্যেও এই নিয়ে বেশ কোন্দল শুরু হয়েছে। তবে এ নিয়ে প্রকাশে কোনও নেতাই মুখ খুলতে চাইছেন না। যেখানে বামেদের তরফে শহর জুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক আন্দোলন করা হচ্ছে, সেখানে দুই রাজ্য নেতার এমন বৈঠক ভালো চোখে দেখছে না বাম শিবির। শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, রবিবার বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর পুরভোট নিয়ে জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা দেবাশিস মজুমদার ও টাউন সভাপতি সুভাষ চাকির ওয়ার্ডে মাটি কামড়ে পড়ে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছাপ্পা রুখতে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কমিটি তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।