শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
মন্ত্রী বলেন, এই ধরনের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। ১২১ জোড়া আদিবাসী ছেলেমেয়ে দাম্পত্যজীবন শুরু করল। আদিবাসীদের সামাজিকভাবে উত্তরণের কাজ আমাদের সরকার করছে। কিন্তু সরকারের পক্ষে একা এত কাজ করা সম্ভব নয়। সংস্থাটিকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।
এদিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী গৌতমবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জন সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে এসেছিলেন সুধাকর জি মহারাজ। সংগঠনের পক্ষ থেকে ছিলেন সভাপতি গৌরীশঙ্কর গোয়েল, সহ সভাপতি বালকৃষ্ণ সরাব প্রমুখ।
গৌরীশঙ্করবাবু বলেন, আমরা এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পেরে খুশি। সরকারিভাবে রেজিস্ট্রি ম্যারেজের ব্যবস্থাও করা হয়। পাশাপাশি তাঁদের সংসার চালানোর জন্য কিছু অর্থ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও এদিন তুলে দিয়েছি।
আয়োজক সমিতির মহিলা শাখার সভানেত্রী আশা আগরওয়াল বলেন, এলাকায় বহু গরিব চা শ্রমিক আছে। আদিবাসী গ্রামগুলিতে একটি নিয়ম রয়েছে বিয়ে করলে গ্রামের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বিয়ের আয়োজন করতে হবে। সেই কারণে বিপুল খরচ জোগাড় করতে না পেরে অনেকেই পিছিয়ে যায়। আমরা এদিন সেই সমস্ত যুবক-যুবতীর বিয়ের আয়োজন করি।
নবদম্পতি সুভাষ লোহার, আরতী খেরওয়ার বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠান করতে প্রচুর খরচ হয়। আমাদের মতো দুঃস্থদের পক্ষে এত খরচ করে বিয়ে করা সম্ভব নয়। আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।
চা বাগানের শ্রমিকরা আর্থিক ও সামাজিক দিক দিয়ে দুর্বল। তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করতে পারেন না। নির্দিষ্ট সময় পরে যা মজুরি মেলে তা দিয়ে সংসার চালানোই কঠিন হয়ে যায়। সেজন্য অনেক যুবক যুবতীই বিয়ে করতে পারে না। এদিকে সমাজের নিয়ম অনুযায়ী বিয়ে না করলে সমাজ মেনে নেয় না। সংস্থাটির দাবি, তারা সারাবছরই বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে। প্রত্যন্ত গ্রামের দুস্থ ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার খরচ দেয়। এবার বাগানের গরিব আদিবাসী ও হিন্দু যুবক যুবতীদের গণবিবাহের উদ্যোগ নেন তাঁরা। ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি, খড়িবাটি, মাটিগাড়ার চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের ১২১ জোড়া তরুণ তরুণীর বিয়ে দেওয়া হল। সংগঠনের পক্ষ থেকে দম্পতিদের ৩১০০ টাকা করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি বর ও নববধূর পোশাক, গয়না, নতুন সংসার শুরু করার জন্য বাসনপত্রও দেওয়া হয়। বিয়ে শেষে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়তের সহায়তায় রেজিস্ট্রি ম্যারেজের ব্যবস্থা করা হয়। বিয়ের পর পরিবার, আত্মীয়স্বজন নিয়ে একসঙ্গে বসে নব দম্পতিরা মধ্যাহ্নভোজ সারেন। মেনুতে ছিল ভাত, রুটি, ডাল, সব্জি, মিষ্টি। হাজার পাঁচেক বর ও কনেযাত্রী খাওয়া দাওয়া করেন।