শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
যদিও তৃণমূলের এদিনের সভায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতি ছিল একেবারেই নগন্য। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দূষণ ছড়াবে না এই নিশ্চয়তা দিতে প্রকল্প তৈরির আগে প্রশাসন গ্রামবাসীদের নিয়ে কোনও বৈঠক করেনি। প্রশাসন থেকে গ্রামবাসীদের দেখানো হয়নি সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের কোনও স্লাইড শো বা ভিডিও।
তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছিল, প্রকল্পের কাজে বাধা কাটাতে শুক্রবার প্রকল্পের পাশে গণকনভেনশন হবে। কিন্তু এদিন সেই কনভেনশন কার্যত তৃণমূলের দলীয় সভায় পরিণত হয়। সভা করতে শহর থেকে প্রচুর লোক আনা হয় মাঝেরডাবরি চা বাগানে।
সভায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, এই প্রকল্প শুধু আলিপুরদুয়ার পুরসভার নয়। গোটা জেলার আবর্জনা এনে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এখানে জৈব ও বায়ো গ্যাস তৈরি হবে। প্রকল্পের কাজে বাধা দিতে ও গণ্ডগোল পাকাতে বিজেপি স্থানীয়দের উস্কানি দিচ্ছে। কিন্তু এখানে এই প্রকল্প হবেই।
সভায় মৃদলবাবু কঠোর বার্তা দিয়ে বলেন, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা যারা গ্রামবাসীদের ভুল বুঝিয়ে এই প্রকল্পের কাজে বাধা দিচ্ছে তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করুন। প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রয়োজনে প্রকল্পের পাশে পালা করে দলীয় কর্মীরা ক্যাম্প করে রাত পাহারা দিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে।
সভায় জেলা পরিষদের মেন্টর মোহন শর্মা বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এখানে স্থানীয় ৬০ জন যুবক কাজ পাবেন। কিন্তু পুর ভোটের আগে বিজেপি বাইরে থেকে লোক এনে গ্রামবাসীদের খেপিয়ে তুলে প্রকল্পের কাজে বাধা দিচ্ছে। মোহনবাবু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রয়োজনে বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে ধর্না আন্দোলনে বসবে দল। এই প্রকল্প ব্যর্থ হলে জেলাজুড়ে আন্দোলন করে গোটা জেলাকে স্তব্ধ করে দেওয়া হবে।
বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, আলিপুরদুয়ার পুরসভার ওই প্রকল্পের কাজে বাধা দেওয়ার পেছনে তাদের দলের কোনও কর্মী সমর্থক জড়িত নয়। আলিপুরদুয়ার পুরসভার বয়স ৬২ বছর। আমাদের দল তো সদ্য এসেছে। তাহলে এতদিনেও কেন পুরসভার এই প্রকল্প করল না।
পুরসভার প্রশাসক আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক কৃষ্ণাভ ঘোষ অবশ্য বলেন, অভিযোগ ঠিক নয়। প্রকল্পের কাজ শুরুর আগে গ্রামবাসীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করা হয়। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের স্লাইড শো ও ভিডিও দেখানো হয়েছিল।
এদিন সভায় স্থানীয় কালকূট বস্তি ও পানিয়ালগুড়ির বাসিন্দাদের উপস্থিতি ছিল একেবারেই নগন্য। বরং শহর থেকেই প্রচুর লোক নিয়ে যাওয়া হয়। প্রকল্পের কাজ শুরুর আগে তাদের সঙ্গে প্রশাসন কোনওরকম আলোচনা করেনি বলে কয়েকজন গ্রামবাসী তৃণমূল নেতৃত্বের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন।
সব মিলিয়ে পুর ভোটের আগে পুরসভার এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়েই এখন প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে। মহকুমা শাসক অবশ্য জানিয়েছেন, থমকে থাকা প্রকল্পের কাজ দু’একদিনের মধ্যে শুরু হবে।