শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
পথসভায় উদয়নবাবু বলেন, শুক্রবার রাতে ভেটাগুড়িতে দিনহাটার দুই তৃণমূল কর্মীকে আটকে রিভালবার দেখানো হয়েছে। যে রিভালবার দেখিয়েছে সে দাগী আসামী। এখানে সাহেবগঞ্জ ও দিনহাটা থানার পুলিস আধিকারিকরা আছেন। ওই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আছে। পুলিস তাকে খুঁজে পায় না। আর রাতে সে ভেটাগুড়িতে রিভালবার হাতে দাপট দেখায়। এবার আইসি ও ওসিকে বলব আয়নায় নিজেদের মুখটা দেখার চেষ্টা করুন। দায়িত্বটাকে সঠিকভাবে পালন করছেন নাকি অশান্তিকে বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনারা ভূমিকা পালন করছেন, সেই দিকটা নজর রখবেন।
এদিন উদয়নবাবু সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের নাম না করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। তিনি বলেন, ভেটাগুড়ির বাইরে গিয়ে ক্ষমতা দেখান। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে থেকে নয়। আর আগের দিন নেই যে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নাম করে মানুষকে উস্কানি দেবেন। ভেটাগুড়ির বাইরে গিয়ে আপনার দাদাগিরি দেখানোর ক্ষমতা নেই। এনিয়ে নিশীথ প্রামাণিক বলেন, কে কী বলল, তার কথার উত্তর দিতে আগ্রহী নই।
লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিনহাটার ভেটাগুড়ি। বৃহস্পতিবার রাতেও ভেটাগুড়িতে বোমাবাজি হয়। শুক্রবার সকালে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন সব্জি বাজারের কাছে একটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। রাতে কয়েক রাউন্ড গুলিও চলে। পুলিশ তাজা বোমা ও গুলির খোল উদ্ধার করেছে। শুক্রবার সকালে তূণমূল এর প্রতিবাদে মিছিল করে। মিছিলে বিধায়কের সঙ্গে যুব নেতা সাবির সাহা চৌধুরী সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উদয়নবাবুর অভিযোগ, ভেটাগুড়ি ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সন্ত্রাসের মূল মাথা পঞ্চায়েতের প্রধান এবং আরও দু’জন । তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এরপর থেকে যদি কোনও তৃণমূল কর্মীর গায়ে হাত ওঠে তাহলে প্রধান সহ তিন জনকেই তুলে নিয়ে গিয়ে কী করে শাস্তি দিতে হয় সেটা দেখিয়ে দিয়ে ভেটাগুড়িকে ঠান্ডা করব। এপ্রসঙ্গে নিশীথ প্রামাণিক বলেন, তুলে নিয়ে যাব, জানে মেরে দেব, এটা ওদের কালচার। এটা তিনি করতে পারেন জানি। পুলিসকে আয়নায় মুখ দেখার হুঁশিয়ারি নিয়ে অবশ্য জেলার পুলিস কর্তারা মুখ খোলেননি। অন্যদিকে, এদিন সন্ধ্যায় ভেটাগুড়িতে বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভার নেতৃত্বে পাল্টা মিছিল হয়।