কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
ফেসবুকে ভাইরাল কত কিছুই হয়। কতুটুকুই বা মন দিয়ে দেখেন ব্যবহারকারীরা। তেমনই ভিডিও দেখতে দেখতে একটিতে চোখ আটকে গিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা হাবিবুরের বড় ছেলের স্ত্রীর। ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, এক ব্যক্তি তাঁর পাশে থাকা এক রোগীর জন্য আর্থিক সাহায্য চাইছেন। রোগীকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় ভিডিওটি স্বামীকে দেখান তিনি। হাবিুরের ছেলে তা দেখেই বাংলাদেশের বাড়িতে ভাইদের ফোন করে খবর দেন। পরদিন সকালে হাসপাতালে গিয়ে বাবাকে দেখেই চিনতে পারেন দুই ছেলে শাহাব উদ্দিন এবং জালাল উদ্দিন।
জানা গিয়েছে, গত ২৫ বছর ধরে সিলেটের মৌলবিবাজার জেলায় থাকতেন হাবিবুর। রাজিয়া বেগম নামে এক মহিলা তাঁর দেখভাল করতেন। ১৯৯৫ সালে হজরত শাহাব উদ্দিন মাজারে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় হাবিবুরকে উদ্ধার করেছিলেন তিনি। নিজের নামধাম কিছুই বলতে পারেননি। সেই থেকে রাজিয়ার পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন হাবিবুর। কয়েকদিন আগে বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে তাঁর ডান হাতের ভাঙে। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন অপারেশন করতে হবে। অস্ত্রোপচারের টাকা জোগাড় করতেই হাসপাতালের এক রোগীর মাধ্যমে ওই ভিডিও বানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন রাজিয়া। ছোট থেকেই দাদুর কথা শুনে এসেছে হাবিবুরের নাতি কেফায়াৎ আহমেদ। এতদিন পর দাদুর সঙ্গে দেখা করতে খুশি তিনিও।