যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
এরই মধ্যে গত বুধবার হায়দরাবাদের যুবক নাদিমুদ্দিনের রক্তাক্ত মৃতদেহ সুপারমার্কেটের পার্কিং লট থেকে উদ্ধার হয়। কাজ থেকে বাড়ি না ফেরায় নাদিমুদ্দিনের পরিজনরা সুপারমার্কেট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরিজনদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তৎপর হয় কর্তৃপক্ষ। সিসিটিভি ফুটেজ ঘাঁটতে গিয়েই পার্কিংয়ের জায়গায় ওই যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন সুপারমার্কেটের কর্মীরা। তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা নাদিমকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই আততায়ীকে চিহ্নিত করেছে টেমস ভ্যালি পুলিস। ওই সন্দেহভাজন আততায়ী নাদিমের পূর্বপরিচিত বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনা সম্পর্কে কারও কাছে কোনও তথ্য থাকলে, তা অবিলম্বে পুলিসকে জানানোর আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে, হায়দরাবাদ থেকে লন্ডন যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের দ্বারস্থ হয়েছেন নাদিমের পরিজনরা। স্বামীর মৃত্যুতে একেবারেই ভেঙে পড়েছেন তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী। এই গভীর শোক কাটিয়ে উঠতে নাদিমের স্ত্রীকে কাউন্সেলিংয়ের পরামর্শ দিয়েছে পুলিস। ‘বর্তমান’-কে টেমস ভ্যালি পুলিসের গুরুতর অপরাধ শাখার প্রধান ইয়ান হান্টার জানিয়েছেন, শুক্রবার নাদিমের দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তাঁর দেহে ধারাল অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি জানি এই ঘটনায় ভারতীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। কিন্তু, আমি জনতাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, এই হামলা কোনও এলোপাথাড়ি হামলা নয়। এক্ষেত্রে আততায়ী নিহতের পরিচিত ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। আমরা এখন তদন্তের প্রাথমিক স্তরে রয়েছি। স্লাওয়ের স্থানীয় পুলিসের সাহায্য নিয়ে আততায়ীর নাগাল পাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা।’