গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে পিত্রোদা বলেছেন, ভারত বৈচিত্র্যময় দেশ। এই দেশের পূর্বাঞ্চলের লোকজনকে চীনাদের মতো দেখতে, পশ্চিমের মানুষকে আরবীয়দের মতো, উত্তরের মানুষকে শ্বেতাঙ্গদের মতো ও দক্ষিণের বাসিন্দাদের আফ্রিকানদের মতো দেখতে। ভোটের বাজারে স্বাভাবিকভাবে ওই মন্তব্যকে লুফে নেন মোদি। বিতর্কের আঁচ পেয়েই বুধবার এবিষয়ে তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। এক্স হ্যান্ডলে তিনি জানান, পিত্রোদার মন্তব্যের সঙ্গে কংগ্রেস বিন্দুমাত্রও সহমত নয়। রমেশ দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করলেও তেলেঙ্গানার ওরাঙ্গলে এক নির্বাচনী সভা থেকে রাহুল গান্ধীর নাম না করে তাঁর তোপ, ‘শাহজাদাকে এর জবাব দিতে হবে। দেশের মানুষ গাত্রবর্ণ নিয়ে অপমান বরদাস্ত করবে না। এপ্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নির্বাচনের প্রসঙ্গও টেনে আনেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষ, রাষ্ট্রপতি ভোটে দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করার বিরোধিতা কংগ্রেস কেন করেছিল, এখন তা বুঝতে পারছি। শাহজাদার এক কাকা থাকেন আমেরিকায়। সেই কাকা বলেছেন, যাঁদের ত্বক কৃষ্ণবর্ণের তাঁরা আফ্রিকার লোক। এখন বুঝতে পারছি ওরা দ্রৌপদী মুর্মুকে আফ্রিকান ভেবেছিল। গায়ের রং কালো বলে হারাতে চেয়েছিল। পিত্রোদার মন্তব্যে তিনি ক্ষুব্ধ বলেও জানিয়েছে মোদি। এই প্রসঙ্গে কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানার কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এবং ডিএমকে’কেও একহাত নিয়েছেন। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, এধরনের মন্তব্যের প্রতিবাদে এমকে স্ট্যালিন কি কংগ্রেসের সঙ্গ জোট ছাড়তে পারবেন? এর প্রতিক্রিয়ায় ডিএমকে পিত্রোদার মন্তব্যকে গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করলেও মোদিকে পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েনি তারা। স্ট্যালিনের দল বলেছে, অতীতে এক বিজেপি সাংসদ যখন এধরনেই মন্তব্য করেছিলেন, তখন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা জবাব দেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। তিনি বলেন, ফালতু বিষয় ছেড়ে প্রধানমন্ত্রী বরং চাকরি-বাকরি, মুদ্রাস্ফীতি ও মহিলাদের উপর নির্যাতনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলুন।
যদিও এতে বিজেপির আক্রমণ থামেনি। এক্স হ্যান্ডলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংও পিত্রোদার মন্তব্যের সমালোচনা করেন। তাঁরা এই মন্তব্যকে বর্ণবিদ্বেষী বলে অভিহিত করেন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘আমি দক্ষিণ ভারতের। আমাকে দেখতে ভারতীয়দের মতো।’