নয়াদিল্লি, ২১ মে: অন্তর্দেশীয় বিমান চালুর কথা ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার যাত্রীদের জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা (এসওপি) জারি করল মোদি সরকার। যার জেরে শুধু সামাজিক দূরত্ব বজায় নয়, বিমানে চড়ার জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে গেল আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহার এবং থার্মাল স্ক্রিনিং। তবে ১৪ বছরের নীচের ব্যক্তিদের জন্য আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড আবশ্যিক থাকছে না। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যাত্রীদের এক ঘণ্টা আগে বোর্ডিং করতে হবে। ফ্লাইট ছাড়ার ২০ মিনিট আগে বোর্ডিং গেট বন্ধ হয়ে যাবে। যাত্রীদের একটিই চেক-ইন ব্যাগ থাকবে। পাশাপাশি আগামী তিন মাসের জন্য বিমানভাড়া নির্ধারিত করে দিয়েছে মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি জানিয়েছেন, উড়ানের সময় হিসেবে বিমানযাত্রাকে সাতটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ০-৩০ মিনিট, ৩০-৬০ মিনিট, ৬০-৯০ মিনিট, ৯০-১২০ মিনিট ১২০-১৫০ মিনিট। সেই অনুযায়ী আগামী তিন মাসের জন্য সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভাড়া স্থির করা হয়েছে। যেমন, দিল্লি-মুম্বই একটি উড়ানের বিমানভাড়া সাড়ে ৩ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে রাখতে হবে। এছাড়া একটি উড়ানের ৪০ শতাংশ আসনের ভাড়া কেন্দ্রের নির্ধারিত বিমানভাড়ার ৫০ শতাংশের মধ্যে রাখতে হবে। অর্থাৎ দিল্লি-মুম্বই রুটের উড়ানে ৪০ শতাংশ আসনে টিকিটের দাম হতে হবে ৬ হাজার ৭০০ টাকা। পাশাপাশি, বিমানের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। সেই কারণে বিমানে মাঝের আসন ফাঁকা রাখা হবে না। বিমানে খাবার দেওয়া হবে না। এমনকী, বাথরুম ব্যবহারও যতটা সম্ভব এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আগামী সোমবার থেকে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা শুরু হচ্ছে। অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বুধবার সন্ধ্যায় একথা ঘোষণা করেন। তারপর এদিন যাত্রীদের নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সেখানে বলা হয়েছে, ‘বিমানবন্দরের টার্মিনালে প্রবেশ করার আগে বাধ্যতামূলকভাবে নির্দিষ্ট জায়গায় থাকা থার্মাল স্ক্রিনিং জোনের মধ্যে দিয়ে যাত্রীদের যেতে হবে।’ সেখানে যদি কোনও যাত্রী সবুজ সিগনাল না পান এবং তাঁর কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ না থাকে তাহলে তিনি টার্মিনালে প্রবেশ করতে পারবেন না। কাশি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে সেই ব্যক্তি বিমানবন্দরে ঢুকতে পারবেন না।
সমস্ত যাত্রীকে মাস্ক ও গ্লাভস পরতে হবে। কোনও যাত্রী বিমানবন্দরের টার্মিনালে প্রবেশ করার আগে সেই যাত্রীর ব্যাগ কর্তব্যরত কর্মীদের যথাযথভাবে স্যানিটাইজ করতে হবে। কর্মীদের পিপিই পরে থাকতে হবে। বিমানবন্দরে কোনও ফিজিক্যাল চেক-ইন হবে না। ওয়েব চেক-ইন করা ব্যক্তিই কেবল বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবেন। সর্বোচ্চ চার ঘন্টা আগে যাত্রীরা বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবেন। যাত্রী ও বিমানকর্মীদের জন্য বাস বা প্রাইভেট গাড়ি নিশ্চিত করতে রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।