কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও মৃত্যু- দুই হিসেবেই দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এখনও পর্যন্ত সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ২৯৭ জন। মৃত ১ হাজার ৩৯০ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের। তামিলনাড়ুতে ১৩ হাজার ১৯১ জন, গুজরাতে ১২ হাজার ৫৩৭ জন এবং দিল্লিতে ১১ হাজার ৮৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। রাজধানীতে মৃতের সংখ্যা এদিন বেড়ে হয়েছে ১৭৬। এর মধ্যে রয়েছেন সিআরপিএফের একজন সাব ইন্সপেক্টরও।
দেশের করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যান হিসেব করে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাত, দিল্লি ও রাজস্থান — ভারতের এই পাঁচটি রাজ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ সংক্রমণ ঘটেছে এই রাজ্যগুলিতে। প্রতিদিন যত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, তার মধ্যে ৭০ শতাংশই এই পাঁচ রাজ্যের বাসিন্দা। তবে মহারাষ্ট্রকে বাদ দিলে গত সাতদিনে অন্য চার রাজ্যে আক্রান্তের গড় হার জাতীয় গড়ের তুলনায় কম। তবে এর পাশাপাশি কিছুটা আশার আলোও দেখিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন, বিশ্বের যে সমস্ত দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষে পৌঁছেছে, সেখানে বৃদ্ধির হার ছিল অত্যন্ত বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র তিনদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষে পৌঁছেছিল। সেখানে ভারতে এই পর্বে সময় লেগেছে ১৪ দিন।
এদিকে, পরিযায়ী শ্রমিক ও বিদেশ থেকে ফেরাদের সংখ্যা বাড়তেই আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। এদিন কেরলে নতুন করে ২৪ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। একই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের একাধিক জেলায়। ভিনরাজ্য থেকে শ্রমিকরা ফেরার পর একদিনে ৯৫টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে বরাবাঁকি জেলায়। যার পরেই এই জেলাকে নতুন হটস্পট বলে চিহ্নিত করেছে রাজ্য প্রশাসন। অন্যদিকে, প্রতি রবিবার কর্ণাটকে সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তবে আগামী ২৪ ও ৩১ মে কোনও বিয়ের অনুষ্ঠান থাকলে সেক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।