অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
চাকরি বাতিলের রায়ে হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই মামলায় সিবিআই চাইলে যেকোনও ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। ওইসঙ্গে উল্লেখ রয়েছে, ওএমআর শিটের স্ক্যানড কপি সার্ভারে না রেখেই হার্ড কপি নষ্ট করা হয়েছে। এই রায়ের কপি হাতে আসার পরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিক ও শীর্ষ কর্তারা বৈঠক করেন। সেখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় অতিরিক্ত পদ সৃষ্টির বিয়য়টিকে। এজেন্সি জানতে চাইছে, হঠাৎ করে এই পদ তৈরির প্রয়োজন পড়ল কেন এবং তার জন্য অতিসক্রিয় হয়েছিলেন কারা? তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন, এসএসসির তরফে এই ধরনের কোনও প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল কি না। আর এর রহস্য জানতে এসএসসির কাছে চিঠি পাঠিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বলে খবর। যদি তাদের তরফে সুনির্দিষ্ট কোনও ব্যাখ্যা না মেলে তাহলে শিক্ষাদপ্তরের কাছেই বিষয়টি জানতে চাওয়া হবে। তদন্তকারীদের ব্যাখ্যা, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য হল—অযোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা বের করা। সিবিআই জেনেছে, ওএমআর শিট সংরক্ষণের নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম নেই। তাদের প্রশ্ন, এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কেন আলাদা করে গাইডলাইন তৈরি করা হয়নি? সরকার নথি-প্রমাণাদি দশ বছর সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিলেও বিপুল পরিমাণ খাতা জমে যাবে এই যুক্তি দেখিয়ে তা কার্যকর করা যায়নি।
তদন্তকারীদের বক্তব্য, আসলে অযোগ্য প্রার্থীদের সুবিধা পাইয়ে দিতেই সেগুলি সংরক্ষণ করা হয়নি। চাকরি প্রার্থীদের উত্তরপত্রের স্ক্যানড কপি জমা পড়েছিল। কিন্তু সেটি সার্ভারে রাখা হয়নি। অর্থাৎ অত্যন্ত কৌশল করেই গোটা বিষয়টি সাজানো হয়, যাতে অযোগ্যদের অনায়াসে চাকরি দেওয়া যায়। ওএমআর শিট তাড়াতাড়ি নষ্ট করার প্রকৃত কারণ কী ছিল এবং সরকারি নির্দেশিকা কী রয়েছে, তার কপিও চাওয়া হয়েছে এসএসসির কাছে। এগুলির উত্তর কী দিচ্ছে কমিশন, তার উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে তদন্তকারী সংস্থা।