কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
চাষিরা বলেন, ভারী বৃষ্টি হলে ধান এবং পাট চাষে ব্যাপক ক্ষতি হবে। বেশিরভাগ জমির ধান পাকতে শুরু হয়েছে। তা কাটার কাজ চলছে। এই অবস্থায় ভারী বৃষ্টি হয়ে গেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে যাবে। মুর্শিদাবাদ জেলার কৃষি আধিকারিক তাপস কুণ্ডু বলেন, মাঠে এখন অনেকেরই ধান রয়েছে। আমাদের জেলায় ধান চাষ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। সেকারণে কিছু জমির ধান পাকেনি। তাছাড়া এখন পাট গাছ ছোট অবস্থায় রয়েছে। জমিতে জল জমে গেলে ক্ষতি হতে পারে। ঝড় বা বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর চাষিরা যেন জল জমি থেকে বের করে দেয়। ঝড় বয়ে গেলে আম এবং লিচুও ক্ষতির মুখে পড়বে। লিচু পাকতে শুরু করেছে। তা ঝরে পড়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। জেলার উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক প্রভাস মণ্ডল বলেন, ঝড়ের গতিবেগ কম থাকলে তেমন ক্ষতি হবে না। কিন্তু গতিবেগ বেশি থাকলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
হরিহরপাড়ার পীরতলার পাট চাষি সরিফুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন আগেই শিলাবৃষ্টির ফলে পাট গাছের ক্ষতি হয়েছে। আবার ভারী বৃষ্টি হলে গাছ পচে যাবে। বিপুল টাকা ক্ষতি হয়ে যাবে। মাঠে যে সমস্ত সব্জিআছে সেগুলিও ক্ষতি হয়ে যাবে। খুব চিন্তার মধ্যে রয়েছি। আরেক চাষি আব্দুর রহমান বলেন, অল্প বৃষ্টি হলে পাট গাছের তেমন ক্ষতি হবে না। কিন্তু জমিতে জল দাঁড়িয়ে গেলে গাছ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রতিটি ব্লকেই উম-পুন নিয়ে নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এদিনের বৈঠকে প্রতিটি দপ্তরকে সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বহরমপুরে বৈঠকে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আধিকারিকদেরও ডাকা হয়েছিল। মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আধিকারিক তারাশঙ্কর পান বলেন, ঝড়ে কীরকম ক্ষতি হতে পারে তা এখন থেকে আন্দাজ করা যাচ্ছে না। তবে যারা পশুপালন করেন বিশেষ করে যাদের পোলট্রি রয়েছে তাঁদের কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। সেসব কিছু তাঁদের জানানো হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মীনা বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।