নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: এক বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে চন্দননগরে। শুক্রবার গভীর রাতে চন্দননগরের সুরের পুকুরের বাড়ি থেকে ওই বধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ পুলিস উদ্ধার করে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম প্রীতি সিং (২২)। মৃতার দাদা অতুল সিংয়ের দাবি, পণ নিয়ে বিবাদের জেরেই তাঁর বোনকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে এনিয়ে তিনি চন্দননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরেই পুলিস ওই বধূর স্বামী মৃত্যুঞ্জয় সিংকে আটক করেছে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে প্রীতিদেবীর বিয়ে হয়। তারপর থেকে পণ নিয়ে বিবাদ চলছিল। এনিয়ে মাঝে থানা-পুলিসও হয়েছিল। মৃতার স্বামীর অবশ্য দাবি, তাঁর স্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। চন্দননগর থানার পুলিস জানিয়েছে, মৃত প্রীতি সিং’য়ের স্বামী ধনঞ্জয় সিং’কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃতার দাদা অতুল বলেন, শুক্রবার রাতে বোনের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে বলা হয় যে, প্রীতি আত্মহত্যা করেছে। আমরা ওঁদের কথা বিশ্বাস করি না। পণের দাবি নিয়ে বিয়ের পর থেকেই বোনের উপরে অত্যাচার চলছিল। ওঁরাই বোনকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। তারপর বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রীতিদেবী হালিশহরের বাসিন্দা ছিলেন। গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে চন্দননগরের বাসিন্দা ধনঞ্জয় সিংয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সেই সময় নগদ আট লক্ষ টাকা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দু’লক্ষ টাকা সহ গয়না দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের পরে নতুন করে পণের দাবি শুরু হয়। এনিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ চলছিল। এমনকী প্রীতিদেবীকে নির্যাতন করার অভিযোগও উঠেছে।  এরই মধ্যে  প্রীতিদেবীর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় পরিস্থিতি অন্য মাত্রা পেয়েছে।