উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
গত ১৩ জুন কুলতলির দেউলবাড়ি নাইয়াপাড়ার ওই মৎস্যজীবী চার সঙ্গীকে নিয়ে সুন্দরবনের চিতুরি জঙ্গলের খাঁড়িতে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন। গ্রামের উল্টোদিকেই এই জঙ্গল। কিন্তু তাঁর আর বাড়ি ফেরা হয়নি, বাঘের হামলায় মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে আকাশ ভেঙে পড়ে নাইয়া পরিবারের মাথায়। কীভাবে সংসার চলবে, সেটাই যেন বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছিল গোষ্ঠ বাবুর স্ত্রী, তিন সন্তান ও বয়স্ক বাবার। দিশাহারা ওই পরিবারকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে জেলা বনদপ্তর। পরিবারটিকে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হয়। তবে এখনও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসায় বাকি টাকা দেওয়া যাচ্ছে না। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বন আধিকারিক জানিয়েছেন, হতদরিদ্র পরিবারকে আমরা তিন লক্ষ টাকা দিয়ে সাহায্য করেছি। বাকি টাকা শীঘ্রই দিয়ে দেওয়া হবে। এই গ্রামে অন্তত ৪০০ পরিবার আছে, যাদের সদস্যরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সুন্দরবনের জঙ্গলে গিয়ে কাঁকড়া ধরেন। এই কাজ করতে গিয়ে প্রাণও হারিয়েছেন অনেকে। সেসব পরিবারের লোকজনরাও এখন ক্ষতিপূরণের জন্য বনদপ্তরের দিকে তাকিয়ে আছেন। তাঁদের বক্তব্য, বনদপ্তর যেভাবে তৎপরতার সঙ্গে গোষ্ঠের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দিয়েছে, একই তৎপরতা যদি বাকিদের ক্ষেত্রেও দেখানো হয়, তাহলে অনেক পরিবারই বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারবে।
ক্ষতিপূরণ পেয়ে মৃত মৎসজীবীর স্ত্রী বলেন, স্বামীর মৃত্যুর দুই সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছি। এই টাকা দিয়ে ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি করানো হবে। পাশাপাশি উম-পুনে তাঁদের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটিও মেরামত করা হবে।