কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন অঞ্চলের সব এলাকাই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু জায়গায় নদীবাঁধের অবস্থা বিপজ্জনক। বকখালি, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা, বাসন্তী, কুলতলি ইত্যাদি জায়গায় অজস্র বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। রাস্তায় কিছুটা অন্তর গাছ, পড়ে রয়েছে। পাথরপ্রতিমা এবং সাগর বিধানসভা এলাকায় ঝড়ের তাণ্ডবলীলা সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ছিল। নামখানা থেকে কাকদ্বীপ, কুলপি থেকে ডায়মন্ডহারবার—জাতীয় সড়কের উপর অনেক জায়গায় গাছ, ল্যাম্পপোস্ট উল্টে পড়ে। কচুবেড়িয়া জেটিঘাটের সলিলসমাধি হয়েছে ঢেউয়ের ধাক্কায়। বিকেল ৫টা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল এলাকায় ঝড়ের গতিবগি ছিল ঘণ্টায় ১১৭ থেকে ১৬৩ কিলোমিটার। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র কুলতলি ব্লক থেকে প্রায় ১০ হাজার ৮০০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। বারুইপুর, জয়নগর, ভাঙড় থেকে কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন। সুন্দরবনে ঝড়ের ধ্বংসলীলার প্রকৃত চিত্র কী দাঁড়িয়েছে, তা অবশ্য আজ জানা যেতে পারে। ঝড়ে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবন লাগোয়া একাধিক ব্লক কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে। মিনাখাঁ থানার দক্ষিণ বারগা গ্রামের বাসিন্দা নুরজাহান বেওয়ার মৃত্যু হয়েছে মাথায় গাছ ভেঙে পড়ে। মাটিয়া থানা এলাকার মোমিনপুরের বাসিন্দা তরুণ মহন্ত দাস (২০)-এর মাথার উপর গাছ ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। হিঙ্গলগঞ্জের কানাইকাটি গ্রামে মাথায় গাছ পড়ে রেখা গায়েন নামে এক মহিলা গুরুতর জখম হয়েছেন। বসিরহাট মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে, সন্ধ্যের মধ্যেই পাঁচ হাজারেরও বেশি কাঁচাবাড়ি ভেঙে পড়েছে। বহু এলাকায় নদীবাঁধ ছাপিয়ে জল ঢুকতে শুরু করেছে। হাওড়া জেলাও ঝড়ের তাণ্ডব থেকে বাদ যায়নি। হাওড়া শহরে ঝড়ের পাশাপাশি বৃষ্টির জন্য বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বেলগাছিয়া, শিবপুর, টিকিয়াপাড়া থেকে উত্তরের লিলুয়া, বালির সর্বত্র এই চিত্র। বি গার্ডেন এলাকার শালিমারে মাথার উপর ঘরের টালির চাল ভেঙে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় লক্ষ্মী সাউ নামে এক কিশোরী। শিবপুর ট্রাম ডিপোর কাছে জিসিআরসি রোডে একটি বাড়ির পাঁচিল ধসে পড়ে বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরের সর্বত্র ধ্বংসের চিহ্ন ছড়িয়ে পড়ে রাতেই। উলুবেড়িয়ার বাউড়িয়ায় হুগলি নদীর পাড় বিপজ্জনকভাবে ভেঙে গিয়েছে। শ্যামপুরের দু’টি ব্লক, বাগনান, আমতা, উদয়নারায়ণপুর এলাকায় শতাধিক মাটির বাড়ি ধসে গিয়েছে।