উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
চোরাপথে বিদেশ থেকে সিগারেট আসা বেড়ে গিয়েছে। এ জন্য বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জোরদার ধরপাকড় শুরু করেছে। আসলে এর মাধ্যমে সরকারের বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। এই সিগারেটের বেশিরভাগটাই আসছে সিঙ্গাপুর, কোরিয়া বা তাইল্যান্ড থেকে। এর পাশাপাশি দুবাই এবং ইউএই থেকে সম্প্রতি এর আসা শুরু হয়েছে। যেভাবে বিদেশি সিগারেটের চোরাচালান বাড়ছে, তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন শুল্ক দপ্তরের অফিসাররা। জানা গিয়েছে, কোথায় কোথায় তা মজুত করে রাখা হচ্ছে, তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। এখান থেকেই বিদেশি সিগারেট চাহিদামতো বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে।
কয়েকদিন আগে শুল্ক দপ্তরের অফিসারদের কাছে খবর আসে, কলকাতায় একটি বড় গোডাউনে প্রচুর বিদেশি সিগারেট মজুত করে রাখা হয়েছে। এটি কোনও পরিবহণ ব্যবসায়ীর গোডাউন। এরজন্য মোটা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। ওই গোডাউনের বিষয়ে তথ্য জোগাড় করেন তদন্তকারী অফিসাররা। তার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে হানা দেন তাঁরা। দেখা যায়, বিপুল পরিমাণ বিদেশি সিগারেট সেখানে মজুত করে রাখা হয়েছে। কার্টুনের উপর সিগারেটের জায়গায় লেখা রয়েছে অন্য সামগ্রীর নাম। সেগুলি খুলতেই দেখা যায়, তার মধ্যে রাখা হয়েছে নামী ব্রান্ডের বিদেশি সিরারেট। সবমিলিয়ে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকার সিগারেট মেলে।
তদন্তে নেমে শুল্ক দপ্তর জানতে পেরেছে, এই সিগারেটগুলি দুবাই থেকে আনা হয়েছিল। অল্প কিছু সিগারেট কোরিয়া ও তাইল্যান্ডের। কার্গোতে বুকিংয়ের সময় জানানো হয়, এতে অন্য সামগ্রী রয়েছে। ভুল তথ্য দিয়ে বিদেশি সিগারেট আনা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। কলকাতা থেকে তা দেশের অন্যপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এরফলে সরকারের বিপুল অঙ্কের রাজস্বের ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, কলকাতার একটি বড় চক্র বিদেশ থেকে বিভিন্ন নামী ব্র্যান্ডের সিগারেট নিয়ে আসছে। তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক চোরাকারবারিদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপেই অর্ডার পাঠানো হচ্ছে। সেইমতো বিদেশি সিগারেট পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন দেশ থেকে। এই চক্রে জড়িতদের কয়েকজনের নাম শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের হাতে এসেছে। তাদের বিষয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে।