কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উদয়নারায়ণপুর বিধানসভার ২৪৮ নং বুথের সভাপতি ভাস্কর দোলুইয়ের দাদা সমতুল দোলুইও এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সরপোতা গ্রামে একটি পুজোর অনুষ্ঠান উপলক্ষে রবিবার রাতে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য সমতুল বাড়ি না গিয়ে দোকানেই থেকে গিয়েছিলেন। গ্রামবাসীদের আভিযোগ, রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীন সমতুল একাধিকবার ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তার বচসা বাধে। বিষয়টি তখনকার মত মিটে গেলেও সোমবার সকালে পুনরায় চায়ের দোকানে বসে সমতুল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এরপর থেকে সমতুলকে আর এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না। পরে দুপুরে তার সাইকেল দোকানের পিছনে একটি ফাঁকা জমির মধ্যে গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সমতুলের মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গরম জিনিস দিয়ে ছেঁকা দেওয়া হয়। এদিকে, বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর আমতা থানার পুলিস মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য গ্রামে গেলে উত্তেজিত জনতা তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ও মুন্সিরহাট আমতা রোড অবরোধ করে। প্রায় দু’ঘণ্টা পর পুলিস দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তারপরেই পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। আমতা থানার পুলিস একজনকে আটক করেছে। মৃতের ভাই ভাস্কর দোলুই বলেন, রবিবার রাতে দাদা ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়ায় তৃণমুল কর্মীরা তাঁকে পরিকল্পনা করে খুন করেছে। দলীয় কর্মী খুন হওয়া প্রসঙ্গে বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলা সভাপতি অনুপম মল্লিক বলেন, মৃত কর্মী নির্বাচনে আমাদের কাউন্টিং এজেন্ট ছিলেন। রবিবার রাতে শুধুমাত্র ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়ার অপরাধে তাকে তৃণমূল কর্মীরা খুন করেছে।
যদিও বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন, উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা। তিনি বলেন, মদ্যপ অবস্থায় বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সর্ম্পক নেই।