কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বাউড়িয়া রেলস্টেশনের ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাউড়িয়া থেকে পাঁচলা যাওয়ার রাস্তার পাশে উলুবেড়িয়া পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বুড়িখালিতে তৈরি হয়েছে সুদৃশ্য এই পার্কটি। পুরনো আমলের চেয়ার ছাড়াও পার্কের সৌন্দর্য বাড়াতে রাখা হয়েছে বিভিন্ন মনীষী ও শহিদ সেনার স্মরণে রাখা মূর্তি। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার বাসিন্দা প্রাক্তন সেনাকর্মী অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর তাঁর পেনশনের জমানো অর্থ দিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে পার্কটি বানিয়েছেন। পার্কটি তৈরি করা প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীর বক্তব্য, ক্রমবর্ধমান নগরায়নের ছোঁওয়া কলকাতা ছাড়িয়ে এখন জেলাকে গ্রাস করছে। খোলা হওযায় একটু হাত-পা ছড়িয়ে বসার জায়গার অভাব দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে প্রবীণদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি। আর তাঁদের এই সমস্যার সমাধানের জন্য আমি এই পার্ক বানানোর উদ্যোগ নিয়েছি। তাঁর মতে, একটি বয়সের পর অনেকেই নিঃসঙ্গতায় ভুগতে থাকেন। তাঁদের এই অসহায়ত্ব ভাব কাটাতে সকলের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর লক্ষ্যে এই পার্ক বানানোর উদ্যোগ।
পার্কটি তৈরি হওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দা ভানু হালদার। তিনি জানালেন, বর্তমান যুগে এইভাবে নিজের সঞ্চয়ের অর্থ দিয়ে পার্ক বানানো নব প্রজন্মের কাছে একটা নতুন বার্তা দেবে। তিনি জানান, আগে এলাকায় আমাদের জন্য সেভাবে কোনও পার্ক না থাকায় বিকেলে ঘরে বসে সময় কাটানো সমস্যা হতো। তবে এখন পার্ক হওয়ায় সেই সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে। এলাকার আর এক বাসিন্দা সুবোধচন্দ্র মেটে জানান, বর্তমান যুগে বয়স্করা সকলের কাছেই একটা বোঝা। আর সেক্ষেত্রে বয়স্ক লোকেদের জন্য প্রাক্তন সেনাকর্মীর বানানো পার্ক প্রবীণদের কাছে একটি অন্য বার্তা পৌঁছে দেবে।