সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
রবি রায়ের পরিবারের দাবি, বুধবার দুপুর সোয়া তিনটে নাগাদ সঞ্জয় দাস, তার স্ত্রী এবং দুই ছেলে তাঁদের বাড়িতে এসে রবিকে হেনস্তা করতে থাকে। সেই অবস্থাতেই রবিকে তারা বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়। এরপরে রবি রায় আচমকাই রাস্তায় পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। রবি রায়ের পরিবারের সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এদিন সঞ্জয় দাস, তার স্ত্রী সাধনা দাস এবং দুই ছেলে সুরজিৎ ও সুব্রত দাসকে গ্রেপ্তার করে বাগুইআটি থানার পুলিস। তাদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে কেন খুনের মামলা রুজু করা হল না? সেবিষয়ে পুলিসের দাবি, আপাতত যা অভিযোগ এসেছে তাতে রবি রায়কে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য সঞ্জয় এবং তার পরিবার হেনস্তা করেছে— সেটা কোনওভাবেই স্পষ্ট নয়। হেনস্তা করছিল, সেই সময় কোনওভাবে রবি রায়ের মৃত্যু হয়েছে। তাই অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত তদন্তে যদি প্রমাণিত হয়, প্রাণে মারার উদ্দেশ্য নিয়েই রবি রায়কে হেনস্তা বা মারধর করেছিল সঞ্জয়, তখন অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলার ধারা বদল করা হবে। এদিকে, রবি রায়কে কেন হেনস্তা করতে যায় সঞ্জয়? সেপ্রসঙ্গে পুলিসের দাবি, জেরায় সঞ্জয় জানিয়েছে, রবি রায় তার স্ত্রীর সঙ্গে অসভ্য আচরণ করেছিল, তাই রাগের মাথায় সে রবি রায়ের বাড়ি যায়। দুর্ঘটনাবশতই রবি রায়ের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সঞ্জয়ের স্ত্রীকে রবি রায় আদৌ হেনস্তা করেছিল কিনা, সেবিষয়ে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিস জানিয়েছে। জগৎপুর বাজার এলাকার ব্যবসায়ী, দোকানদারদের দফায় দফায় এদিন পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গোটা বিষয়ে।