সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
রমজান মাসে ইফতারে ফলের জোগান দিতে যথেষ্ট হিমশিম খেতে হচ্ছে আর্থিকভাবে দুর্বল ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষকে। শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষই নন, ফলের উপর নির্ভরশীল বহু রোগী ও শিশুরাও। তাই সাধারণ মানুষের অভিযোগ, কয়েকদিন আগেও ফলের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকলেও রমজান মাস শুরু হতে না হতেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে দাম। তাঁদের অভিযোগ, কয়েকদিন আগেও আপেল ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বুধবার সেই আপেলের দাম ছুঁয়েছে ১৫০/২০০ টাকা। ঠিক সেইরকম আম কেজি প্রতি ৮০ টাকা, আঙুল ২০০ টাকা, নাসপাতি ২৫০ টাকা, বেদানা ১০০-১২০ টাকা, শশা ৫০ টাকা, পাকা পেঁপে ৬০ টাকা, আনারস ৬০ টাকা, খেজুর ১০০ টাকা, কলা প্রতি পিস ৪/৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এদিকে, ক্রমাগত ফলের দাম বৃদ্ধিতে বাজেট কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা। এই প্রসঙ্গে শেখ তৌফিক জানান, অন্যবার ২০০ টাকা খরচ করলে যে পরিমাণ ফল কিনতে পারা যেত, সেই পরিমাণে ফল কিনতে এবারে ৪০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। আবার বাগনানের বাসিন্দা সৈয়দ ফারহানের বক্তব্য বাজারে ফল কিনতে গিয়ে পকেটের টাকা শেষ হয়ে গেলেও মনের মতো ফল কেনা হচ্ছে না। অন্যদিকে ফল বিক্রেতাদের বক্তব্য, অন্যবার রমজান মাসে ফলের দাম বাড়লেও এবারে অপেক্ষাকৃত দাম অনেকটাই বেড়েছে। এই প্রসঙ্গে ফল বিক্রেতা শেখ সফিয়ান জানান, অনেক বেশি দামে ফল কেনার কারণে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। যদিও ক্রেতাদের ধারণা আমরা সূযোগ বুঝে দাম বাড়িয়েছি। অধিকাংশ ফল বিক্রেতার মতে, বাজারে ফলের দাম বাড়লেও অত্যধিক গরমের কারণে অনেক সময় ফল নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে লাভের অংশে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।