কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
জেলা পরিষদের কৃষি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী বলেন, বড় জায়গা নেই অথচ ফার্ম করার পরিকল্পনা আছে, এমন উদ্যোগীদের মধ্যে আমরা এই প্রকল্প জনপ্রিয় করতে চাইছি। দু’টি প্রকল্প একইসঙ্গে চলতে পারে, এই ধরনের বিষয়কে আমরা একত্রিত করে পরিকল্পনা তৈরি করছি। যে কারণে প্রাথমিকভাবে হাঁস ও মাছ চাষের বিষয়টি বাছা হয়েছে। সরকারি অর্থ সাহায্যে পরিকাঠামো থেকে প্রশিক্ষণ সবই দেওয়া হবে। এই ধরনের একাধিক মাইক্রো ফার্মিং প্রকল্প করতে পারলে তরুণ প্রজন্মের সামনে স্বনির্ভরতার দিগন্ত খুলে যাবে। এ ধরনের প্রকল্প বিশ্বব্যাপী সফল হয়েছে। হাঁস ও মাছ চাষ প্রকল্প বাণিজ্যিকভাবে সফল হলে অন্য প্রকল্প নিয়ে আমরা ভাবব। রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বলেন, রাজ্য সরকার নানাভাবে তরুণ প্রজন্মকে স্বনির্ভর হতে উৎসাহ দিচ্ছে। এই ধরনের প্রকল্প জেলাস্তরেও সেই সুবিধা উদ্যোগীদের কাছে এনে দেবে। একইসঙ্গে দু’টি প্রকল্প, যারা পরস্পরের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে চলে, তা বিশ্বের অনেক জায়গাতেই সফল। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে এই ধরনের প্রকল্প খুবই চর্চিত। ফলে তরুণ প্রজন্ম যদি বেশি করে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারে, তবে সবদিক থেকেই লাভ।
জেলা পরিষদের কৃষি স্থায়ী সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোট জায়গা, ছোট উদ্যোগ বা পুঁজি—এই অবস্থা ধরে নিয়েই ওই মাইক্রো ফার্মিংয়ের বিষয়টি ভাবা হয়েছে। হাঁস ও জিওল মাছ প্রতিপালনের জন্য জলের প্রয়োজন হয়। আবার দু’টি প্রাণী জলের একই স্তর থেকে খাবার সংগ্রহ করে না বা তাদের বসবাসের জলস্তর পৃথক। হাঁস জলের উপরের স্তরে ও জিওল মাছ নীচের স্তরে থাকে। তবে একটি ছোট আকারের চৌবাচ্চা তৈরি করে তাতে হাঁস ও জিওল মাছ পালন করা সম্ভব। এই প্রকল্পে ওই চৌবাচ্চা গড়ে দেওয়া হবে ও হাঁসের ছানা বা মাছের চারা দেওয়ার বিষয়টি সরকারি স্তরে করা হবে। পাশাপাশি দেওয়া হবে প্রশিক্ষণও। ফলে সামান্য জায়গা আর কিছুটা উদ্যোগ নিতে পারলেই স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ মিলবে, এমনটাই মনে করছেন কৃষি কর্তারা।