উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে আরসিবি’র দুই ওপেনার দেবদূত পাদিক্কাল ও অ্যারন ফিনচ দুলকি চালেই ইনিংস শুরু করেছিলেন। ওপেনিং জুটি জমাট বাঁধছে দেখেও কেকেআর অধিনায়ক কেন লকি ফার্গুসনকে আগে বল দিলেন না, সেটাই আশ্চর্যের বিষয়। শেষ পর্যন্ত সপ্তম ওভারে দ্বিতীয় ডেলিভারিতে ফিনচকে (১৬) ডাগ আউটে ফেরান ফার্গুসনই। ওই ওভারেই রান আউট হন পাদিক্কালও (২৫)। জোড়া সাফল্যে কিছুটা অক্সিজেন পায় কেকেআর। কিন্তু ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি (১৮ অপরাজিত) ও গুরকিরত সিংয়ের (২১ অপরাজিত) ৪০ রানের পার্টনারশিপে ৮ উইকেটে জেতে আরসিবি।
আবুধাবির বাইশ গজে বোলারদের জন্য যদি এত রসদ মজুত থাকে, তাহলে টসে জিতে মরগ্যান কেন আগে ব্যাটিং নিলেন? তিনি কি ঠিক মতো পিচ রিড করতে পারেননি? এই প্রশ্নগুলি উঁকি দিচ্ছে কেকেআর সমর্থকদের মনে। অনেক সময় পরীক্ষায় অজানা প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ভিমরি খেতে হয় পরীক্ষার্থীদের। এদিন সেই অবস্থাই হয়েছিল নাইট বাহিনীর। কেকেআরের সিলেবাসে মনে হয় সিরাজের নাম ছিল না। গিল, রানাদের পুরো ফোকাসটাই ছিল ক্রিস মরিস, যুজবেন্দ্র চাহালদের উপর। সিরাজকে হাল্কাভাবে নেওয়ায় চরম খেসারত দিতে হল মরগ্যান বাহিনীকে।
নীতীশ রানার (০) বোল্ড হওয়া ছাড়া কেকেআরের অধিকাংশ ব্যাটসম্যানই উইকেট ‘উপহার’ দিয়েছেন। অফ-স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে কট বিহাইন্ড হন রাহুল ত্রিপাঠি (১) ও টম ব্যান্টনও (১০) তাড়াহুড়ো করে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটান। পরপর উইকেট পড়তে দেখেও সতর্ক হননি শুভমান গিল (১)। অহেতুক ঝুঁকি নিয়ে নবদীপ সাইনির বলে তুলে মারতে গিয়ে নিজে এবং দলকে বিপদে ফেলেছেন তিনি। দীনেশ কার্তিক (৪) প্রথম থেকেই ছিলেন নড়বড়ে। চাহাল তাঁকে বোকা বানিয়ে লেগবিফোর করেন। একটা সময় নাইটদের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ৪০ রান। যেন এক ক্ষুরে সকলের মাথা কামানো।
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় অবস্থা ব্যাট করতে নামেন মরগ্যান। দুর্গ সামলে বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু সেই লড়াইও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। রান রেটের গতি বাড়ানোর জন্য চালিয়ে খেলতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি সুন্দরের বলে ৩০ রানে আউট হন। তার আগেই অবশ্য চাহাল ফেরান কামিন্সকে (৪)। অষ্টম উইকেটে কুলদীপ যাদব (১২) ও লকি ফার্গুসন (১৯) যদি ২৮ রান যোগ না করতেন, তাহলে আরও লজ্জায় আরও বাড়ত কিং খানের দল।