প্রশাসনিক রাজকর্মচারীদের কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি। দুপুর থেকে চিন্তার অবসান ও বাধামুক্তি। ... বিশদ
ঝাড়গ্রামের ডিএফও পঙ্কজ সূর্যবংশী বলেন, হাতির বিভিন্ন দল মেদিনীপুর ডিভিশনে গিয়েছিল। সেগুলি ফের চলে এসেছে বলে হাতির সংখ্যা বেড়েছে।
ঝাড়খণ্ড সীমানার কাছে যে সমস্ত হাতির পাল আছে, তাদের ঝাড়খণ্ডে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। চার-পাঁচদিন বাদে এই ডিভিশনে হাতির সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে। চাষের যা ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, আবেদন অনুযায়ী তার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।
এলাকার চাষিরা বোরো ধান জমি থেকে তুলেছেন। তবু হাতির তাণ্ডব থেকে তাঁরা রেহাই পাচ্ছেন না। এবার জমিতে কিছু না পেয়ে খাবারের খোঁজে বাড়ি ভাঙচুর করে ধান খাচ্ছে হাতির দল। বৃহস্পতিবার রাতে মানিকপাড়া রেঞ্জের কুসুমঘাটি বিটের চিতলবনী গ্রামে দু’টি বাড়িতে ভাঙচুর করে খাবার খায় হাতির দল। ওই রাতেই এই রেঞ্জের বালিভাসা বিটের পেঁচাপাড়া গ্রামে আদিত্য মাহাতর ঘরের দরজা ভেঙে হাতি ধান খেয়ে নেয়। ঝাড়গ্রাম এলাকায় দলমার জঙ্গল থেকে আসা হাতির সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তাতে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার চাষিদের পক্ষে চাষাবাদ ও বসবাস দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। শুধু ঝাড়গ্রাম ডিভিশনেই শুক্রবার পর্যন্ত ১২২টি হাতি অবস্থান করছে। হাতি অধ্যুষিত এলাকায় রোজ মোবাইলে মেসেজ ও মাইকিং করে বনদপ্তর সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে দিচ্ছে। রাত ঘনিয়ে এলেই খাবারের সন্ধানে বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে হাতির পাল তাণ্ডব চালাচ্ছে। রাজাবাসা গ্রামের চাষি কৃষ্ণপ্রসাদ মাহাত বলেন, জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আমাদের এলাকায় বিঘাখানেক লাউ ও অন্য সব্জি নষ্ট করে দিয়েছে হাতির দল। বেকার যুবকরা চাষ করে রোজগারের মুখ দেখছিল। হাতির তাণ্ডবে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আবার জমিতে খাবার না পেলে হাতির পাল গ্রামে ঢুকে ঘর ভেঙে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। ঝাড়গ্রাম থেকে লোধাশুলি যাওয়ার মাঝে বিকাশ ভারতীর সামনে জাতীয় সড়কের উপর যাত্রীবাহী বাস আটকে রামলাল।-নিজস্ব চিত্র