অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
তৃণমূল নেতারা মানছেন, যদি বুথের সংগঠন ঠিক থাকে, তাহলে যেকোনও নির্বাচনে জয় অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু বুথের সংগঠন নড়বড়ে হলেই সমস্যা। একুশের নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে মোদি হাওয়া থাকলেও তৃণমূলের বুথের সংগঠন মজবুত হওয়ার কারণেই বিজেপিকে ৭৭ আসনে থমকে যেতে হয়েছিল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, বুথে বুথে বিরোধীদের কী অবস্থা, আগের নির্বাচনগুলিতে সংশ্লিষ্ট বুথে কী ফল হয়েছিল, যদি তৃণমূলের খারাপ ফল হয়ে থাকে, তা পুনরুদ্ধারে এতদিন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা কী করেছেন, সেসব পর্যালোচনা বৈঠকের মাধ্যমে বুথ সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি, ব্লক সভাপতিদের কাছ থেকে তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে ভোট পর্যন্ত প্রচারের কৌশলও ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই গড়বেতায় এনিয়ে সভা করেছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। বৈঠকের সুফলও পেয়েছেন। কোনও প্রশ্নে বুথ সভাপতি মিথ্যা বললে তিনি অঞ্চল সভাপতির কাছে ধরা পড়ছেন, আবার অঞ্চল সভাপতি মিথ্যা বললে ব্লক সভাপতির কাছে ধরা পড়ছেন। জানা গিয়েছে, এভাবে পর্যালোচনা বৈঠকের পর দলের প্রচার কমিটিকে সেই এলাকায় নামানো হবে। তৃণমূল সরকার কী করেছে, তার লিফলেট বিলি করা হবে। সেই সঙ্গে প্রতি বুথে হবে চাটাই বৈঠক। শুধু তাই নয়, যে অঞ্চলে তফসিলি মানুষের আধিক্য রয়েছে, সেখানে দলের এসসি, এসটি সংগঠনকে নামানো হচ্ছে। সংখ্যালঘু এলাকায় কাজে লাগানো হচ্ছে দলের মাইনরিটি সেলকে।
অন্যদিকে, মহিলা ভোট টানতে ‘আমার বুথে আমি সাথী’ নামের একটি কর্মসূচি নিয়েছে জেলা তৃণমূল। মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী মামনি মাণ্ডি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের জন্য যা করেছেন, অন্য কোনও রাজ্যে তা হয়নি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি প্রচার চালাব আমরা। লিফলেট বিলি করা হবে। তবে থেমে নেই বিজেপিও। তারাও বুথে বুথে প্রচার শুরু করেছে। বিজেপি জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, তৃণমূল যাই করুক না কেন, তাদের বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। মানুষ মোদির ‘গ্যারান্টি’ দেখেই ভোট দেবেন। তৃণমূলের নেতারা বুথে পড়ে থেকেও কিছু করতে পারবেন না।