কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, খাসজঙ্গল শিল্পতালুকে ২০০৩-’০৪ সালে ১৭জন উদ্যোগপতি জমি নিয়ে বিনিয়োগ শুরু করেন। ২০০৬ সালের মধ্যে ওই এলাকায় কয়েকটি কারখানা চালু হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে একের পর এক প্লট নিয়ে কারখানা গড়ে ওঠে। ওই এলাকায় ৫২টি প্লট রয়েছে। অধিকাংশ প্লট বিক্রি হয়ে যায়। কিন্তু, অনেক উদ্যোগপতি জমি নেওয়ার পর বছরের পর বছর ধরে তা ফেলে রেখে দিয়েছেন। কারখানা তৈরির জন্য একটি ইটও গাঁথা হয়নি। কেউ কেউ শুধু প্রস্তাবিত কারখানার জায়গায় সীমান্ত পাঁচিল দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু, কেউ বিনিয়োগ করার জন্য এগিয়ে আসেননি। এতদিন লিজের এই জমি ব্যাঙ্কে মর্টগেজ রেখে লোন পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা ছিল না। অনেক উদ্যোগপতি অর্থনৈতিক সমস্যার কথা বলে জমি ফেলে রাখতেন। এখন সেই সমস্যা মিটে গিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে লোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, উদ্যোগপতিরা শুনানিতে এসে দ্রুত বিনিয়োগ করার আশ্বাস দিয়েছেন। চেম্বার অব কমার্সের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দন বসু বলেন, বছরের পর বছর ধরে যারা জমি ফেলে রেখে দিয়েছেন, তাঁরা নতুন করে কারখানা তৈরি করবেন বলে মনে হয় না। তাই ওই জমি নতুন উদ্যোগপতিদের হাতে তুলে দিলে দ্রুত কারখানা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, এখন প্রশাসনের ওই নির্দেশ মেনে পুরানো উদ্যোগপতিরা কারখানা তৈরির উদ্যোগ নিলে ভালো। না হলে এভাবে জমি ফেলে রাখার কোনও মানে হয় না। প্রশাসনের কড়া অবস্থানকে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাচ্ছি।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট এনট্রেপেনার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব রায় বলেন, আট-দশ বছর বা তার বেশি সময় ধরে কারখানা করার জন্য জমি নিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। ফাঁকা জায়গা পড়ে থাকায় জঙ্গল হয়ে যাচ্ছে। বিনিয়োগ না আসার কারণে জায়গাটির উন্নয়ন হচ্ছে না। যত বেশি কারখানা হবে, তত এলাকাটির আরও উন্নয়ন হবে। তাছাড়া এখন ফেজ ওয়ান এলাকার পরিকাঠামোও প্রশাসনের পক্ষ থেকে করে দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় আরও বেশি কারখানা হলে অনেক কর্মসংস্থানও হবে।